ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভুল চিকিৎসায় বিথী খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামীণ প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল অপারেশনে মৃত্যু হয় বিথীর। নিহত বিথী বজরাপুর গ্রামের আলী কদরের মেয়ে। পরিবারের অভিযোগ ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করানোয় পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেও মারা যান বিথী।
বিথী খাতুনের বাবা আলী কদর জানান, মেয়ের প্রসব ব্যথা উঠলে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী খালিশপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মালিক জুলফিক্কার আলী নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না জানিয়ে সিজার করাতে বলেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন শুরু হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও অপারেশন শেষ না হওয়ায় সন্দেহ হলে জোরপূর্বক অপারেশন রুমে ঢুকে দেখা যায়, রোগী অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। ডাক্তারের পরিবর্তে দুইজন জোরে জোরে বিথী খাতুনের বুকে চাপ দিচ্ছেন। পরে রোগীকে যশোর হাসপাতালে নিতে হবে উল্লেখ করে হাসপাতাল মালিক জুলফিক্কার আরও বড় ‘নাটক’র জন্ম দেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
আলী কদর বলেন, রোগীকে যশোরে নেয়ার নাম করে জুলফিক্কার নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। সেই অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন সিজার করা দুই ডাক্তারও। তবে অ্যাম্বুলেন্স কোঁটচাদপুরে পৌঁছালে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে পালিয়ে যান তারা। পরে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারে, ওই হাসপাতালেই মারা গেছে বিথী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার মাসুদ রানা জানান, অপারেশন করার পর রোগীর প্রেসার কমে যায়। পরে আর প্রেসার তোলা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই রোগী হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছে।
এসবিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী নুথান জানান, ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করানোয় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এসজেড/
Leave a reply