বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ার গাবতলীতে সুদের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর অপমানে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন, অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন নিহত দিনমজুর আবদুল মালেকের স্ত্রী। এরইমধ্যে, অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী গোলজার রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে গাবতলী থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, চার মাস আগে দাদন কারবারি গোলজারের কাছে দেড় ভরি স্বর্ণ বন্ধক রেখে ৩৬ হাজার টাকা দাদন নেন নিহতের স্ত্রী। গত কয়েকমাসে সেই দাদনের সুদ প্রায় লাখ টাকায় দাঁড়িয়ে যায়। সুদের টাকা না দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) গোলজার তার লোকেরা গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে মালেকের স্ত্রীকে আটকে রেখে নির্যাতন করে। ওই রাতেই ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে গোলজারের কাছ থেকে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনেন মালেকের শশুর।
স্ত্রীর এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে শনিবার (৮ জুলাই) রাতে কোনো এক সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন আবদুল মালেক।
রোববার (৯ জুলাই) খবর পেয়ে মালেকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই গোলজারসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী। এরপর, ওইদিনই দাদন কারবারি গোলজার হোসেনকে গ্রেফতার করে গাবতলী থানা পুলিশ।
/এসএইচ
Leave a reply