টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৬ রানে গুটিয়ে গেলো আফগানরা

|

ছবি: সংগৃহীত

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আগে বোলিং করে আফগানিস্তানকে মাত্র ১২৬ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। টাইগার বোলিং তোপে অসহায় হয়ে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। তবে তাদের জুটি আগের ম্যাচের মতো বড় হতে দেননি শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের লেংথে পড়া ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইব্রাহিমের ব্যাটে এজ হয়। মুশফিকুর রহিম সহজে ক্যাচ নিলে মাত্র ১ রানে ফিরে যেতে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানকে।

ছবি: সংগৃহীত

তিনে নেমে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি রহমত শাহ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আবারও মুশফিকের তালুবন্দি করান তিনে নামা আফগান ব্যাটার রহমত শাহকে। শরিফুলের এক ওভারে জোড়া আঘাতেই বিপাকে পড়ে যায় আফগান শিবির। ৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।

ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে আঘাত হানেন আরেক পেসার তাসকিন। ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারী দল। মুশফিকরে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন আফগানদের ২য় ওয়ানডে ম্যাচের নায়ক গুরবাজ।

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৫ রানে মোহাম্মদ নবীকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শরিফুল। ৯ বলে ১ রান করে আফগান অলরাউন্ডার ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে। দলীয় ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় আফগানিস্তান।

ছবি: সংগৃহীত

এরপর উইকেট উদযাপনে যোগ দিয়েছে সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরাও। ২২ বলে ১০ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। আর তাতেই বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সনাথ জয়সুরিয়ার পর ডেনিয়েল ভেট্টরির সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ পোস্টার বয়।

ছবি: সংগৃহীত

একাদশে ফিরে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাইজুল ইসলামও। ৫৪ বলে মাত্র ২২ রান করা শহিদিকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে নিজের চতুর্থ শিকারের দেখা পান শরিফুল। দলীয় ৬৮ রানে আব্দুল রহমানকে ফেরান তাইজুলের ক্যাচ বানিয়ে। ২০ বলে ৪ রান করেন রহমান।

৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮৯ রানে আফগানদের সপ্তম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ৩০ বলে ৫ রান করা জিয়া-উর-রহমানকে ফেরান সরাসরি বোল্ড করে।

তবে ৯ম উইকেটে এসে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন ওমরজাই এবং মুজিব-উর-রহমান। ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহ একশ পার করেন তারা দুইজন। এর ভেতরেই ওমরজাই তুলে নেন অর্ধশতক। তবে মুজিবকে ১১ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ।

ছবি: সংগৃহীত

আর শেষ দিকে এসে তাসকিন আহমেদ তুলে নেন ওমরজাইকে। এতেই ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। ওমরজাই ফেরেন ৭১ বলে ৫৬ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন শরিফুল। দু’টি উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply