কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন যাদের বাইরের রোদ আর ধুলোবালির সাথে যুদ্ধ করতে হয়, ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন তাদেরই বেশি। তবে ঘাম, ধুলোবালি আর রোদের প্রভাব ত্বক থেকে পুরোপুরি দূর করতে বাড়িতে ফিরে কেবল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কারই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন ডাবল ক্লিনজিং।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেল্থলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, প্রতিনিয়ত বাইরের রুক্ষ ও ধুলোবালি যুক্ত পরিবেশে থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্তরে ময়লা জমে যায়। ফলে সেগুলো একবার ফেসওয়াশ ব্যবহারেই পরিষ্কার নয় না। এজন্যই ডাবল ক্লিনজিংয়ের প্রয়োজন হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ডাবল ক্লিনজিং কী? মোটা দাগে বলতে গেলে, দুই ধাপে ত্বক পরিষ্কারের পদ্ধতিই হলো ডাবল ক্লিনজিং। এ ক্ষেত্রে শেষ ধাপে থাকবে আপনার প্রতিদিনের ব্যবহার করা ফেসওয়াশ। আর প্রথম ধাপে তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এই তেল হতে পারে, সাধারণ নারিকেল তেল, অলিভওয়েল বা আমন্ডওয়েল। সামান্য পরিমাণে তেল নিয়ে মুখে ভালোভাবে ম্যাসেজ করে কোনো টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে মুখ হালকাভাবে মুছে নেবেন, যাতে ত্বকের উপরিভাগ থেকে তেল সরে যায়। এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
এবার চলুন জেনে নিই, ডাবল ক্লিনজিং করলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে..
ফেসওয়াশ বা সাবান ত্বকের গভীরে গিয়ে সেখানে থাকা ময়লা টেনে বের করতে পারে না। তাই ত্বকের বিভিন্ন স্তরে জমা ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। মেকআপ করার সময়ে যেমন একের পর এক পরত মুখে মাখতে হয়, তেমন তোলার সময়েও প্রতিটি স্তর থেকে মেকআপ প্রসাধনী উঠছে কিনা তা খেয়াল রাখা জরুরি। ত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে মেকআপ তুলতে ‘ডবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করার পর ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসে। বাইরে থেকে মুখ চকচকে করে তোলার জন্য নানা রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে কিছু দিন ‘ডবল ক্লিনজিং’ করার পরই তফাত নজরে পড়বে।
এসজেড/
Leave a reply