মারিয়া হোসেন:
তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শোবিজ আর গ্ল্যামারের জগতে অনেকেই আসেন ক্যারিয়ার গড়তে। কেউ সফল হন, কেউ বা হারিয়ে যান। ভাগ্য ভাল থাকলে সুযোগ পাওয়ার পর প্রথম চলচ্চিত্রেই সাফল্য আসে, আর তা না হলে একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান তারা। ক্যারিয়ারের শুরুতে সাফল্য পেলেও, একটানা ব্যর্থতার স্বাদ পেয়ে এখনও বলিউডে, রাজত্ব করছেন এমন কিছু সুপারস্টারের কাহিনীই জানবো আজ।
আশির দশকে বলিউডের বক্স অফিসে একচেটিয়া রাজত্ব ছিল বাংলার মিঠুন চক্রবর্তীর। তবু ১৯৯৩-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩টি ফ্লপ চলচ্চিত্র দিয়েছিলেন তিনি। যা আজ পর্যন্ত যেকোনো ভারতীয় অভিনেতার জন্য রেকর্ড।
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের সবচেয়ে দামি অভিনেতা ছিলেন সানি দেওল। একের পর ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। ২০০১ সালে আমিষা প্যাটেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘গাদার’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। যেটি হয়েছিল সুপারহিট। তবে এরপর টানা ১৯টি ফ্লপ সিনেমায় অভিনয় করেন সানি। প্রায় আট বছর ধরে তার কোনো সিনেমা দেখেনি লাভের মুখ।
ক্যারিয়ারের শুরুটা বেশ ভালই ছিল অক্ষয় কুমারের। কিন্তু, ১৯৯৬-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পর পর ১৪টি সিনেমা ফ্লপ করে ক্যারিয়ারের মাঝপথে হারিয়ে যেতে বসেছিলেন এ তারকা। সে সময় অবসাদগ্রস্থ হয়ে অভিনয় জগৎ থেকে অবসর নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে বিভিন্ন সিনেমার সাফল্যই তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
টানা ফ্লপ সিনেমা উপহার দেয়া তারকার তালিকায় রয়েছেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনও। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত টানা ১১টি ফ্লপ সিনেমা দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিগ বি। এরপর ‘জাঞ্জির’ এর মতো সুপারহিট সিনেমার সুবাদে পরিবর্তিত হয় তার ভাগ্য।
২০০২-০৪ সাল পর্যন্ত ব্যাক-টু-ব্যাক ১০টি ফ্লপ সিনেমা দিয়েছিলেন জনপ্রিয় বলুইড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। এরপর অক্ষয়ের সাথে জুটি বেঁধে ‘অ্যায়তরাজ’ সিনেমা হিট করলে ফ্লপের রেকর্ড থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বর্তমানে ভারতের গ্লোবাল আইকন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০০৪-০৫ সালে টানা ৯টি ফ্লপ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারই ডুবতে বসেছিল এ তারকার। পরে অবশ্য এ ধকল কাটিয়ে বর্তমানে হলিউডেও রাজত্ব করছেন প্রিয়াঙ্কা।
ফিল্মি ক্যারিয়ার মানেই কখনো উত্থান কখনো পতন। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এমন অনেক তারকাই আছেন যারা দারুণ আড়ম্বরের সাথে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। অনেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ তারকার তকমাও।
/এসএইচ
Leave a reply