প্রায় ৩৭ বছর ধরে ভাত খান না নীলফামারীর বাসিন্দা রাজু। কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজনে তার জন্য থাকে আলাদা ব্যবস্থা। ভাতের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য খাবার খেয়েই সুস্থ আছেন তিনি।
৬ মাস বয়সে প্রথম ভাত খেতে দেয়া হলে সেটি রাজুর গলায় আটকে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় তার ভাত-ভীতি। সেই থেকে ভাত ছুঁয়েও দেখেননি রাজু। ফলমূল-রুটিসহ অন্যান্য খাবার খেয়েই দিন পার করছেন তিনি।
রাজু বলেন, আমি ছোট থেকেই ভাত খাই না। আর আমার ভাতের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। ছোট থেকেই ভাজাপোড়া, ডিম, পরোটা এগুলো খেয়েই বড় হয়েছি।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
শিশুকাল থেকেই রাজুর ভাত না খাওয়ার বিষয়টি জানে পাড়া-প্রতিবেশীরা। তাই কোনো অনুষ্ঠানে রাজুকে দাওয়াত দিলে তার জন্য আলাদা খাবারের আয়োজন করেন তারা।
প্রতিবেশী এক নারী বলেন, আমরা জানি ও ছোটবেলা থেকে ভাত খাই না। ওর দাদি যেটা শিখিয়েছে ওটাই খেয়েছে। ওর বাবা মা অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনোভাবেই ভাত খাওয়াতে পারেনি।
ভাতের বিকল্প হিসেবে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করেও সুস্থ থাকা সম্ভব। রাজুর বিষয়টিকে কোনো রোগ নয় বরং অভ্যাসগত- এমনটিই বলছেন চিকিৎসকরা।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, ভাতের মধ্যে আমরা যেই উপাদানগুলো পেয়ে থাকি সেটা যদি কেউ অন্য কোনোভাবে গ্রহণ করে তাহলে তার শরীরে পুষ্টির কোনো ঘাটতি হবে না।
ইউএইচ/
Leave a reply