সুদানের দারফুরে একটি গণকবরে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত মাসে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও তাদের সহযোগীরা এদের হত্যা করেছে বলেও দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ। খবর রয়টার্সের।
গত ১৩ থেকে ২১ জুনের মধ্যে পশ্চিম দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল–জেনিনায় তাদের হত্যা করা হয় এবং আরএসএফ পরে মরদেহগুলো শহরের বাইরে কবর দিতে স্থানীয় লোকজনকে নির্দেশ দেয়।
আরএসএফ মরদেহগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের এ দফতর আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন নারী ও সাতজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী অনারব মাসালিতের কিছু সদস্য রয়েছেন।
দেশটির সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল–বুরহান ও আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল এ লড়াই শুরু হয়।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বের এ লড়াইয়ের ফলে তৈরি হয়েছে মানবিক সংকট। মারা গেছেন হাজারো মানুষ, লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। চাদের সীমান্তবর্তী দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চলছে।
জাতিসংঘের বলেছে, এই সংঘাত ‘জাতিগত রূপ’ নিয়েছে। কিছু কিছু মানুষ গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। আর অন্যরা গত জুনে পশ্চিম দারফুরের গভর্নর খামিস আবদুল্লাহ আকবরকে হত্যার পর যে সহিংসতা শুরু হয়, তার শিকার।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের প্রধান ভলকার তুর্ক জানান, মৃত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে নির্মম ও অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে, তাতে তিনি আতঙ্কিত। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত, সঠিক ও স্বাধীন তদন্ত হতে হবে। পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
এএআর/
Leave a reply