জানাতের হ‍্যাটট্রিকের পরও জয়ের বিশ্বাস ছিল সাকিবের

|

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

চালকের আসনে বসেই শেষ ওভার শুরু করে বাংলাদেশ। ৬ বলে দরকার ৬ রান। ব্যাটিংয়ে মেহেদী মিরাজ আর আর তাওহিদ হৃদয়। আফগান পেসার জানাতের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেললেন স্ট্রাইকে থাকা মিরাজ। সমীকরণ এবার ৫ বলে মাত্র ২ রানের। এরপরই শুরু নাটকীয়তা।

উইকেট পাওয়ার পর আফগান ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম বলে বাউন্ডারি খাওয়া নার্ভাস জানাতই পরের তিন বলে তুলে নিলেন হ্যাটট্রিক। একে একে ফিরালেন মিরাজ, তাসকিন ও নাসুমকে। স্বাগতিকদের ড্রাগআউট আর দর্শকভর্তি গ্যালারিতে হুট করে নেমে এলো নীরবতা। তবে এমন পরিস্থিতিতেও লোয়ার অর্ডারের ওপর আস্থা ছিল টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের।

জয়ের পর টাইগার ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও শরিফুলের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, হ্যাঁ কিছুটা নার্ভাসনেস কাজ করেছে! তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা সবাই ব্যাটিং করতে পারে। আজকে শরিফুলের সুযোগ ছিল ম্যাচ শেষ করার।

আস্থার প্রতিদান রেখেছেন শরিফুল। ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে এক বল হাতে রেখেই দুই উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তাওহিদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারী। দুজনের জুটিতে আসে ৪৩ বলে ৭৩ রান। এরপর শামীম ফিরলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন ম্যাচ সেরা হৃদয়।

বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন হৃদয় ও শামীম। ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শঙ্কা জেগেছিল তাদের মাঝেও। শরিফুল শেষ করে আসতে পারায় খুশি সাকিব কিছুটা আক্ষেপ ঝাড়েন মিরাজের দায়িত্বহীন শট খেলা নিয়ে। বলেন, আমি চাইছিলাম, মিরাজের সামনে যখন সুযোগ ছিল, সে-ই ম্যাচটি শেষ করে আসতে পারত।

স্বাগতিকদের জড়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তাওহিদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

শেষ ওভারের নাটকীয়তা নিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, এটা মজার! তবে এভাবেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এগোয়। এসবের কারণেই দর্শকদের জন্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখা আরও রোমাঞ্চকর হয়। শেষ পর্যন্ত জয়ী দলে থাকতে পেরে খুশি।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply