ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫০টি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। ক্যামেরা মনিটরিং করার জন্য সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু ট্রাফিক মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ জাজিরা ও উত্তর মাওয়া দুই প্রান্তে ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো সেতু সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এরই মধ্যে সেতুর নিচতলায় অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন জানান, ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো পদ্মা সেতু সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ক্যামেরা বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ক্যামেরার সকল কাজ সম্পন্ন হবে। সেতুর নিরাপত্তার জন্য মনিটরিং আরও জোরদার হবে। প্রতিটি টোলপ্লাজায় ইতোমধ্যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫০টি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। সেতুর দুই প্রান্তে টাওয়ার বসিয়ে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। নিচতলায় ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ট্রাফিক মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ সেন্টার থেকেই ক্যামেরার মাধ্যমে জাজিরা ও মাওয়া দুই প্রান্তসহ পুরো সেতু সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে।
জানা গেছে, সবগুলো ক্যামেরার ভিডিও একমাস সংরক্ষণ করা হবে। যার সুবিধা নিতে পারবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। সড়কপথ, রেলপথ, টোল প্লাজা ও সেতুর আশপাশের নদী এবং অ্যাপ্রোচ রাস্তা এর আওতায় থাকবে। এই ক্যামেরা বিআরটিএ সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এতে যানবাহনের কার্যক্রমও দেখা যাবে।
এ বিষয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়কে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ক্যামেরা বসানোর জন্য টাওয়ার বসানো হয়েছে। সেতুর দুই প্রান্তের টোল প্লাজার পিটিজেড, ডোম, বুলেট ও ফিসআই চার ধরনের ৫২টি ক্যামেরা এরই মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে। নিরাপত্তা ও ট্রাফিক আইন মেনে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে পুরো পদ্মা সেতু জুড়ে আরও ৫০টি উচ্চ ক্ষমতার ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
এএআর/
Leave a reply