দ. কোরিয়ায় বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া টানেল থেকে সরানো হচ্ছে পানি, নিহত বেড়ে ১৪

|

দক্ষিণ কোরিয়ায় চুংচেং প্রদেশে বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া টানেল থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) তলিয়ে যাওয়া আন্ডারপাসটি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতে মোট প্রাণহানি দাঁড়ালো ১৪ জনে। এরই মধ্যে ওই টানেলের বেশিরভাগ অংশ থেকেই পানি সরানো হয়েছে। তবে সেখানে এখনও কাঁদামাটির পুরু আস্তরণ জমে আছে। ভেতরে আর কারও আটকে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত করেছে উদ্ধারকারীরা। বড় এই বিপর্যয়ের পর দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে নতুন করে ভাবছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। খবর বিবিসির।

মিনিটে ৮০ হাজার লিটার করে পানি পাম্প করে সরানো হয়েছে টানেলটি থেকে। বাসসহ সেখানে আটকে পড়া যানবাহনগুলোকে বের করে নেয়া হয়েছে এরই মধ্যে। টানেলটির সামান্য অংশে এখনও কিছুটা পানি রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা।

এই টানেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মন্ত্রিসভার সাথে জরুরি বৈঠকে একথা জানিয়েছেন  প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। তিনি বলেন, আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার মূলে পরিবর্তন আনতে হবে। ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবছর আগেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গৃহীত হলেও যথেষ্ট বাজেট বরাদ্দ হয়নি। যদিও ২০২২ সালে এই খাতে ব্যয় হয়েছে ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। তবে প্রতিরোধের তুলনায় নজর দেয়া হয়েছে দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থায়।

দেশটির একজন বিশেষজ্ঞ লি সু গোন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতি বছর বাজেটের ১ থেকে ২ শতাংশ বরাদ্দ করে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থায় আর ৭০ শতাংশ দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হয়। যেখানে উন্নত দেশগুলোয় এর উল্টোটা হয়। ১০ লাখের বেশি ভূমিধসপ্রবণ এলাকা আছে দেশে। আগে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক এড়ানো সম্ভব।

দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৪১ জনের, নিখোঁজ ৯ জন। চুংচেং প্রদেশে হঠাৎ বানের পানিতে তলিয়ে যায় ওসং শহরতলীর ২ হাজার ২৪৭ ফুট দীর্ঘ টানেল। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে পানির উচ্চতা দাঁড়ায় ১৬ ফুটে। আটকা পড়ে বাসসহ ১৬টি যানবাহন। ৩০ জন বিশেষজ্ঞ ডুবুরিসহ ৯০০ কর্মী যোগ দেয় উদ্ধার তৎপরতায়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply