ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার দিন আটকে রেখে এক পরিবারের তিনজনকে নির্যাতন ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শহরের কলাবাগান এলাকার বলাই কর্মকার (৫৫), তার স্ত্রী রাধা রানী কর্মকার (৪৫) ও মেয়ে সুর্বনা (১২)। এদের মধ্যে বলাই কর্মকার শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেকার, তার স্ত্রী রাধা রানী কর্মকার বিভিন্ন বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন ও মেয়ে সুর্বনা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনার তিনদিন পরে বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে সৈয়দ রাসেল ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
নির্যাতনের স্বীকার তিনজন ও স্থানীয়রা জানান, শহরের কলাবাগান সড়কে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন বলাই কর্মকার। শুক্রবার রাতে মোবাইল চুরি করার অপবাদ দিয়ে প্রথমে বাবা, মা ও মেয়েকে মারধর করে সাবেক ছাত্রলীগনেতা রাসেল ও তার স্ত্রী। পরে কয়েক দফায় নির্যাতন চালানো হয় তাদের ওপর। এই নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দেয়া হয়। নির্যাতনে বলাই কর্মকারের বাম পা ফুলে গেছে। তার স্ত্রী রাধা রানীর গোপন স্থানে ব্যথা রয়েছে। এছাড়াও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম রয়েছে।
ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমাউন কবির সাগড় বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরা গরিব পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার বলেন, এক পরিবারের তিনজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাধা রানীর যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। অভিযুক্ত রাসেল ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply