শেষ দিকের রোমাঞ্চে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ড্র

|

শেষ দিকের রোমাঞ্চে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি টাই হয়েছে। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ফারজানা হক পিঙ্কির ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ পুঁজি পায় ২২৫ রানের। রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১০ উইকেট হারিয়ে করে ২২৫ রান।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ১৬০ বল খেলে ৭ বাউন্ডারিতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৭ রান করেন ফারজানা।

মেয়েদের ওয়ানডেতে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল দু’জনের। ৭৫ রান করে করেছিলেন রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুন। ফারজানার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭১। সব ছাপিয়ে আজ নিজেকে নতুন চূড়ায় তুললেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হকের ব্যাটে দিনের শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। তাদের জুটি থেকে আসে ৯৩ রান। ৫২ রানে ওপেনার শামিমা সুলতানা আউট হলে জুটি ভাঙে। এরপর দলের হাল ধরেন ফারজানা হক ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। দু’জন গড়েন ৭১ রানের পার্টনারশিপ। জুটি ভাঙে ২৪ রানে নিগার আউট হলে। এদিন সুবিধা করতে পারেননি রিতু মনি। তিনি আউট হন ২ রান করে। এরপর বাংলাদেশের নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন সোবহানা মোস্তারি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়ে যান ফারজানা। তার ১০৭ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে থামে টাইগ্রেসরা।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরান মারুফা আক্তার। এরপরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেন সুলতানা খাতুন।

তবে ভারতের আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারলিন। ৫৯ রান করে স্মৃতি আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন হারলিন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ভারতীয় অধিনায়ককে মাত্র ১৪ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার।

ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে হারলিন আউট হলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমিমাহ রদ্রিগেজ দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শেষদিকে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমিমাহ ৩৩ রানে অপারিজত থাকলেও অলআউট হয় ভারত।

নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। আর মারুফা তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply