অফিস হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিছু মানুষ আছেন, যাদের প্রায় প্রতিদিনই দেরিতে পৌঁছানো একটি অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। এর জন্য পরিচিত মহলে কিংবা বন্ধুদের কাছে ঠাট্টার পাত্রও হন অনেকে, অনেক ক্ষেত্রে এই অভ্যাস ক্ষতিরও কারণ হয়ে ওঠে। তবে এই সমস্ত মানুষের দেরিতে পৌঁছানোর কারণ যে একমাত্র গাফিলতি, সেটি নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে থাকতে পারে ‘টাইম ব্লাইন্ডনেস’ বা ‘নিউরোডেভেলপমেন্টাল’ এর মতো জটিল মানসিক সমস্যা। খবর সিএইচএডিডি’র।
চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকে ঘুম থেকে ওঠার পর কোন কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন সেই হিসেব কষতে কষতেই দেরি করে ফেলেন। শেষ সময়ে এসে লেগে যায় তাড়াহুড়া, আর এটিকেই বলে টাইম ব্লাইন্ডনেস। যদিও বহু চিকিৎসকই এটিকে কোনো রোগের পর্যায়ভুক্ত করতে নারাজ। তবুও সময় সম্পর্কে সামগ্রিক কোনো ধারণা না থাকাকে অনেক চিকিৎসক ‘নিউরোডেভেলপমেন্টাল’ সমস্যা বলে মনে করেন।
দেরি করে পৌঁছনোর পেছনে ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজ়অর্ডার’ বা ‘এডিএইচডি’-র মতো সমস্যাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসেকরা। কারণ প্রতিনিয়ত দেরি করে পৌঁছালে অন্যদের কিছুটা ব্যতিক্রমী নজরে পড়ে যান সেই ব্যক্তি। তবে ‘এডিএইচডি’ থাকলেই যে সময় সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকবে না, এমনটা নয়। চিকিৎসক ও মনোবিদ বেকি স্পেলম্যান বলেন, এই ধরনের সমস্যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। চোখের সামনে ঘড়ি থাকলেও সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারা অনেক সময়েই নিজের চিন্তা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। এই রোগ নিরাময়ের তেমন কোনো ওষুধ নেই। তবে কিছু অভ্যাস করতে পারলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তাহলে চলুন জেনে আসি, দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর অভ্যাস বদলাবেন কীভাবে…
১) ফোনে বা ঘড়িতে নির্দিষ্ট সময় পর পর অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন।
২) অনেকক্ষণ ধরে একটা কাজ না করে, ছোট ছোট করে কাজ ভাগ করে নিন।
৩) কোন দিন, কোন সময়ে, কোন কাজটি করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে নোটে লিখে রাখুন।
এসজেড/
Leave a reply