অদ্ভুত এক ট্রেন্ড শুরু হয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়। বিশ্ব রেকর্ডের উন্মাদনায় মেতেছেন দেশটির নাগরিকরা। গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে দেশটিতে। অল্পতেই খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা পেতে অনেকেই ঘটাচ্ছেন অদ্ভুত সব কাণ্ড। অবশ্য মজার ছলে রেকর্ড গড়তে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ নানা বিপত্তিতেও পড়ছেন কেউ কেউ। খবর বিবিসির।
গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে কেউ ২০০ ঘণ্টা ধরে টানা গান গাইছেন, আবার কারও লক্ষ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ১০০ ঘণ্টা লাইভ স্ট্রিমিং করা। কেউ দীর্ঘ সময় চুম্বনের রেকর্ড গড়তে গিয়ে পড়েছেন প্রশাসনের বাধার মুখে। এমনকি, গিনেস কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দেয় না এমন অনেক কিছুই করছেন নাইজেরিয়াবাসী। সেই সাথে সঠিক নিয়ম না জানায় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না অনেকের রেকর্ড।
গত মে মাসে, নাইজেরিয়ান শেফ হিলদা বাসি দীর্ঘসময় রান্নার রেকর্ড গড়ে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পান। মূলত এরপর থেকেই খ্যাতির আশায় দলে দলে দেশটির মানুষ গিনেস বুকে নাম লেখানোর এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ট্রেন্ডে গা ভাসানো অনেকেই বলছেন, ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে আর জনপ্রিয়তা পেতেই এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন তারা।
তেমনই একজন জানালেন, প্রথমে ভেবেছিলাম বিভিন্ন ব্যক্তিকে টানা ৭৫ ঘণ্টা ম্যাসাজ করবো। কিন্তু ক্লান্ত হয়ে পড়ায় ৫০ ঘণ্টা করেই আমাকে থামতে হয়েছে। এটিও অবশ্য নতুন রেকর্ড। গিনেস রেকর্ডে নাম লেখাতেই আমি এটি করেছি।
আরেক নাইজেরিয়ার অধিবাসী বলেন, আমি মনে করি, এই রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা অনেককেই তার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মাবে, এই মুহূর্তে তারা যা করছে তাদের সামর্থ্য তার চেয়েও বেশি।
অবশ্য মজা করেই অনেকে বলছেন, একসাথে এত নাইজেরিয়ানের রেকর্ড বুকে নাম লেখানোর এই চেষ্টাও হতে পারে নতুন কোনো রেকর্ড। তবে রেকর্ড গড়তে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিও উঠে আসছে সামনে।
এসজেড/
Leave a reply