সৈকতে রহস্যজনকভাবে শতাধিক তিমি আটকা পড়া ও অর্ধশতাধিকের প্রাণহানি নিয়ে তোলপাড় চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। অগভীর পানিতে আটকা পড়ে এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৫২টি। বাকিগুলোকে গভীর পানিতে নিতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেল থেকে হঠাৎ করেই সৈকতে একে একে ভিড় করতে শুরু করে পাইলট প্রজাতির তিমিগুলো। বুধবার (২৬ জুলাই) নাগাদ এ সংখ্যা পৌঁছায় একশোর ওপরে। এরইমধ্যে মারাও গেছে বেশ কিছু বিশালাকার এ সামুদ্রিক প্রাণী। তবে ঝাঁক বেধে তিমিগুলোর উপকূলে আসার কারণ নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।
শত চেষ্টা করেও সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না তিমিগুলোকে। দীর্ঘক্ষণ অল্প পানিতে আটকে থাকার মানে অবধারিত মৃত্যু। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছে তিমি বাঁচানোর কর্মযজ্ঞে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশমন্ত্রী রিচি হুইটবি বলেন, মর্মান্তিক ঘটনা দেখছি এখানে। সৈকতে এত তিমির মরদেহ আসলেই বেদনাদায়ক বিষয়। এর আগেও বহুবার সৈকতে তিমি আটকা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো এর কোনো সমাধান নেই। তবে মানুষের মানবিকতা দেখে আসলেই মুগ্ধ হচ্ছি। সবাই মিলে চেষ্টা করছে তিমিগুলোকে গভীর পানিতে ভাসিয়ে দিতে। সরকারি, বেসরকারি কর্মী এবং সাধারণ মানুষ তিমিগুলোকে বাঁচাতে সমান তালে কাজ করছে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া কখনও উপকূলে আসে না তিমি। অসুস্থ হয়ে এগুলো সৈকতে চলে আসতে পারে বলেও ধারণা অনেকের। এ ঘটনায় সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে দল বেধে তিমি ডাঙায় চলে আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত বছর নিউজিল্যান্ডে প্রায় ৫০০ তিমি সৈকতে চলে এসে আটকা পড়েছিল।
এএআর/
Leave a reply