বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডেতে বাজে আচরণ করে ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে স্ট্যাম্প ভাঙা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ একই সাথে ফটোসেশনে বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন হারমানপ্রীত। ফলে মিলেছে শাস্তিও।
ম্যাচ ফির ৭৫% জরিমানার পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকেও। হারমানপ্রীতের এমন আচরণে হতাশ হয়েছেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ। তার মতে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে যে আচরণ করেছেন হারমানপ্রীত, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সেই আচরণের জন্য হারমানপ্রীতকে ক্ষমা করা উচিত নয় বলেও জানান মিতালি। তিনি জানান, ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানার সঙ্গে হারমানপ্রীত যেরকম আচরণ করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে সেটার থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এ নিজের কলামে মিতালি রাজ বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে হারমানপ্রীত যে আচরণ করেছে সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আগ্রাসী হওয়ার মধ্যে কোনো ভুল নেই। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশেও কোনো ভুল নেই। কিন্তু কেউ এটা ভুলে গেলে চলবে না, যেকোনো ক্রিকেটারের ঊর্ধ্বে খেলা। হারমানপ্রীতের যন্ত্রণা গ্রহনযোগ্য হলেও, এমন আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। ম্যাচে যা হয়েছে সেটা ওখানেই রেখে আসা উচিত ছিল।
২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হারমান। নারী ক্রিকেটে এর আগেও বাজে আম্পায়ারিং এর শিকার হয়েছে খেলোয়াড়রা। কিন্তু তখন এমন আচরণ কোনো খেলোয়াড়ই করেননি। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন মিতালি।
মিতালি রাজ আরও বলেন, হারমানপ্রীত ভালো খেলোয়াড়, অসংখ্য শিশুদের কাছে রোল মডেলও। দায়িত্ববান ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে ও মাঠের বাইরে সম্মানজনক আচরণ করতে হবে। আগে নারী ক্রিকেট সম্প্রচার হতো না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্তিত্বও ছিল না। কিন্তু এখন সবকিছু জনসম্মুখে হচ্ছে। আর যা কিছু ঘটে, শিশুরা সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। যারা খেলাটাকে পেশা হিসেবে নিতে চায়।
সবশেষ হারমানপ্রীতের আচরণ শোধরানোর পরামর্শ দিয়েছেন মিতালি। ভবিষ্যতে মাথা ঠান্ডা রেখে আচরণ করতে বলেন এই কিংবদন্তি।
/আরআইএম
Leave a reply