পশ্চিমা অবমাননার ‘জবাব’ দিতে গাজায় বাড়ছে কোরআন শিক্ষার আগ্রহ

|

আধুনিক এ যুগে ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারের কারণে মোবাইল ফোন, অনলাইন গেম ও সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত হয়ে ধর্মীয় আচারে আগ্রহ হারাচ্ছে শিশু-কিশোররা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায়। অঞ্চলটিতে দিন দিন বাড়ছে কোরআন শেখার আগ্রহ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের পবিত্র এ ধর্মগ্রন্থ অবমাননার কয়েকটি ঘটনার পর অঞ্চলটিতে কোরআন শেখার আগ্রহ বেড়েছে। খবর রয়টার্সের।

গাজার ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আগের চেয়ে সম্প্রতি তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। অঞ্চলটির এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সাইদ আল-আসতাল বলেন, মোবাইল ফোন, গেম, ইন্টারনেটসহ ক্ষতিকর সবকিছু আমি ত্যাগ করেছি। পবিত্র কোরআনে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। মসজিদে গিয়ে আমি কোরআন মুখস্ত করি। সকালে গিয়ে দুপুর পর্যন্ত তেলওয়াত করি। বাড়িতে এসেও আমি কোরআন পড়ি।

মূলত সুইডেন, ডেনমার্কের মতো ইউরোপের দেশগুলোতে কোরআন পোড়ানোর কর্মসূচির পরই গাজার শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই ধর্মীয় গ্রন্থের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। অভিভাবকরাও সন্তানদের নানাভাবে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।

অঞ্চলটির কোরআন মেমোরাইজেশন সেন্টারের কর্মকর্তা ইয়াদ আব্দ আল হাদি বলেন, আল্লাহর কিতাবের ওপর ন্যাক্কারজনক আক্রমণ করে, পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে তারা মনে করেছে শিশু ও যুবকদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে দূরে সরাবে। উল্টো এসব ঘটনার পর আরব ও ইসলামী বিশ্ব কোরআন মুখস্ত করতে চাওয়া ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

একই মত দিলেন গাজার এক অভিভাবক সাইদ আল আস্তাল। তিনি বলেন, কোরআন শেখার জন্য আমি আমার সন্তানদের নৈতিকভাবে উৎসাহ দিই। এছাড়া আর্থিক পুরস্কারও দিই তাদের। কোরআনের প্রতিটি অংশ এবং প্রতিটি সূরার জন্য পুরস্কার দিই আমি। আমি নিজেও কোরআন মুখস্ত করেছি। শৈশবে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়ই আমি এটি করেছি।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে কোরআনের বিকল্প নেই। আর তাই পবিত্র গ্রন্থ অবমাননার প্রতিবাদেই সন্তানদের আরও বেশি কোরআনের সাথে যুক্ত করতে চান তারা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply