সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ২৬/২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৭/১ ধারায় ৬ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আর তারেক রহমানের অপরাধে তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান সহায়তা করেছেন, যা প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেন আদালত। জোবায়দা রহমানকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৭ জুলাই এ মামলায় দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।
এই মামলার ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন। গত ২৪ জুলাই সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন দুদকের সাবেক উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। দুদকের পক্ষ থেকে আর কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির করা হবে না বলে এ সময় জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উৎস থেকে অর্জিত ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ তাদের বৈধ উৎস থেকে অর্জন প্রমাণে ভিত্তিহীন রেকর্ড ও বক্তব্য উপস্থাপনে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
/এমএন
Leave a reply