যেখানে ঢাকা ওয়াসার এমডিকেও ছাড়িয়ে গেলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি

|

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের চেয়েও এক কাঠি উপরে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ। বয়স ৮১ বছর হলেও, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে আরও ৩ বছর জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তার। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হলো তার। এর আগে, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সপ্তমবারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হয় তাসকিম এ খানের।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) তার পুনর্নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগের পানি সরবরাহ শাখার উপসচিব মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬–এর ২৮ (২) ধারা মোতাবেক এ কে এম ফজলুল্লাহকে তার বর্তমান চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর থেকে তিন বছরের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগ করা হলো। আগামী ১ নভেম্বর থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। তার বর্তমান মেয়াদ রয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

১৯৪২ সালে জন্ম নেয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পান চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে। পরে ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হলে পুনর্গঠন করা হয় ওয়াসা বোর্ড। তখন থেকেই এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকালে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন এ কে এম ফজলুল্লাহ। এখন বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট থাকলেও, ১২ দফায় বাড়ানো হয়েছে দাম, যা নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার মেয়াদে পানি সরবরাহ এবং পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পসহ বড় ৫টি প্রকল্পের কোনটিই যথা সময়ে শেষ হয় নি, মেয়াদের সাথে উল্টো বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়।

সর্বশেষ, নিজের বেতন ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করে সমালোচনার পড়েন তিনি। গেল বছরের জানুয়ারিতে এক লাফে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা দেড় শ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন, বিশেষ ভাতাসহ মিলিয়ে মোট পান ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বেতন পান তিনি।

সনাক-টিআইবির চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সমালোচনার মধ্যেও মেয়াদ বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে তিনি কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট রেখেছেন। তাদের কাছে, পানির সংকট, মানুষের দুর্ভোগ, প্রকল্পের ধীরগতি মুখ্য বিষয় নয়।

তবে এ ব্যাপারে এ কে এম ফজলুল্লাহর প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি তাকে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply