ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুদের সার্ফিং শিখিয়ে এই খেলাটি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হামামা গরবান নামের এক নারী। ইসরায়েলি মুসলিম এই নারী ‘সার্ফিং ফর পিস’ নামে একটি সংস্থাও চালাচ্ছেন। যা কাজ করে নানা সামাজিক সমস্যা নিরসনে। নানা কারণে প্রশংসায় ভাসছেন হামামা। খবর রয়টার্সের।
সার্ফিং জগতে নতুন মাইলফলক তৈরি করে যাচ্ছেন ফিশারউইমেন হামামা গরবান। যিনি একইসঙ্গে সার্ফিং, সুইমিং ও ডাইভিং খেলায় পারদর্শী। আরব-ইসরায়েল কমিউনিটির এই নারী দিন দিন সবার সামনে আসছেন উদাহরণ হয়ে। ভৌগলিকভাবে তাদের কমিউনিটি অর্থাৎ ইসরায়েলি মুসলিমরা নানা দিক থেকে পিছিয়ে। খেলাধুলায় আগ্রহী নয় তারা। সংখ্যালঘু হওয়ায় সি-স্পোর্টসেও আগ্রহ কম তাদের। এমন পরিবেশেই হামামা নিজেকে তৈরি করেছেন প্রফেশনাল সার্ফার হিসেবে। আর এখন সার্ফিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তার কমিউনিটির অন্য নারী ও শিশুদের।
হামামা গনবার বলেন, আমি সমুদ্রের মেয়ে, তাই সমুদ্রই আমার জীবন। আমি এখানে সব থেকে বেশি শান্তি পাই। আমার জন্য এটা একটা থেরাপির মত কাজ করে। আমি চাই প্রত্যেকটি নারী ও শিশুদের জিসর আল জারকায় আসা উচিত। এই সমুদ্রই আমাদের পরিচয় বহন করে। সার্ফিং মানুষকে সমুদ্রের আরও কাছে নিয়ে যায় বলে মনে করেন ইসরাইলের এই সার্ফার। মেয়েরা যেন সার্ফিংয়ে আরও এগিয়ে যায়, তার জন্য তার শিক্ষার্থীদের সর্বদা সাহায্য করেন এই ‘অ্যাকুয়া উইমেন’। এতে আরব কমিউনিটিতে সাড়াও পাচ্ছেন বেশ।
হামামা ‘সার্ফিং ফর পিস’ নামে একটি সংস্থাও খুলেছেন। তারা লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে কাজ করে। এছাড়া, সমুদ্রতীরবর্তী স্থানে সতর্কতা বাড়াতেও পরিকল্পনা সাজায়। অনেক দিন থেকেই সমুদ্রের উদ্ধারকর্মীদের সাথেও কাজ করে যাচ্ছেন হামামা।
/এএম
Leave a reply