নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, লন্ডন থেকে লাদেন রহমানের (তারেক রহমান) নির্দেশে বিএনপির ছাত্রদল ও যুবদল নেতারা দেশের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে চায়। দেশকে ধ্বংসের দিকে নিতে চায়। দুদিন আগে অস্ত্রসহ ছাত্রদলের ছয় নেতা গ্রেফতার হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এবং কার নির্দেশে এসব অস্ত্র মজুদ করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিটিউটে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে দেখা মাত্রই প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে হবে। লন্ডন থেকে তারেক রহমান বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, ভাষণ দিচ্ছেন। তার নির্দেশ বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মেনে চলতে হয়।
তারেক রহমানের উদ্দেশে নানক বলেন, আমাদের লজ্জা হয়। আপনি এমন একজন নেতা, যিনি দেশ থেকে মুচলেকা দিয়ে বলেছেন- আমি আর রাজনীতি করবো না। এমন মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। সেই পলাতক তারেক জিয়ার বার্তায় বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করতে চায়। একটি প্রেতাত্মা (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার এনে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বর্ণনা দিয়ে নানক বলেন, সেদিন আমরা মুক্তমঞ্চে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত, আজকে-কালকে করে খালেদা-নিজামীর সরকার ২০ তারিখেও আমাদেরকে মুক্তমঞ্চে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। কারণ, কীভাবে হামলা চালানো হবে সে ব্যাপারে পূর্ব পরিকল্পনা তারা সাজিয়ে রেখেছিল।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, তৎকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান কাঁটা চামচ দিয়ে নাস্তা করতেন এবং ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুনের নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক তেমনি তার ছেলে তারেক জিয়া ঠাণ্ডা মাথায় ১৪টি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছে।
স্মরণ সভায় দেয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তারা জনগণের রায়ও বিশ্বাস করে না। তাই তারা আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে পারলে কেউই আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর পরিচালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান প্রমুখ।
/এসএইচ
Leave a reply