পাবনায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

|

ছবি: সংগৃহীত

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার ঈশ্বরদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, রাতে এক দল চোর ওই গ্রামের ইদ্রিস আলী খানের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায়। এক পর্যায়ে তিনি ও তার ছেলে ঘর থেকে বের হলে চোরের দল পালানোর চেষ্টা করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও একজন চোরকে পাকড়াও করে এলাকাবাসী। তাকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে উত্তেজিত জনতা।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।

বাংলাদেশে গণধোলাই (মব জাস্টিস) বা গণপিটুনির ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিপজ্জনক। কারণ, এতে অপরাধীদের পাশাপাশি অনেক সময় নিরপরাধ মানুষও হত্যার শিকার হয়। ২০১৯ সালের ‍জুলাই মাসে ঢাকার বাড্ডায় সন্তানের ভর্তির খোঁজখবর করতে গিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। একই মাসে ছেলেধরা সন্দেহে আটজন গণপিটুনির শিকার হন। তখনকার পুলিশের আইজি স্বীকার করেছিলেন, ছেলেধরা বা অপহরণকারী ছিলেন না তারা কেউই।

বাংলাদেশে গণধোলাইয়ে হত্যার ঘটনায় বিচারের উদাহরণ থাকলেও তা বিরল। ২০১১ সালে আমিনবাজারে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে প্রমাণিত হয়, তারা ডাকাত ছিল না। এ ঘটনার বিচারে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, যারা সে রাতে গণধোলাইয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু এখনও গণপিটুনির বেশিরভাগ ঘটনা রয়ে যায় বিচারহীন অবস্থায়। এ কারণে যারা মব জাস্টিসের অংশীদার হন, তাদের মধ্যে তেমন কোনো ভীতি কাজ করে না।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply