আসামি হিসেবে তোলা ট্রাম্পের ‘মাগশট’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড়

|

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাগশট।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা, নির্বাচনী প্রচারণা সবকিছু ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এখন ‘মাগশট’। অপরাধ আইনে আসামি হিসেবে তোলা ট্রাম্পের ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। তার মুখে বিরক্তির অভিব্যক্তিকে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে দেখছে সমর্থকরা। কেউ কেউ আবার এটিকে নিছক মজা হিসেবে নিয়েছেন। এমনকি বাণিজ্যও শুরু হয়ে গেছে এই মাগশট নিয়ে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে এই ছবি। খবর বিবিসির।

এর আগে, গত সপ্তাহেই অপরাধ মামলায় চতুর্থবারের মতো গ্রেফতার দেখানো হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ২ লাখ ডলার মুচলেকার বিনিময়ে ছাড়া পেলেও ২০ মিনিটের জন্য তাকে জেলে যেতে হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আইন অনুযায়ী আসামি হিসেবে তার ছবিও তোলা হয়, যা মাগশট হিসেবে পরিচিত। আর এই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে তোলপাড়।

ট্রাম্পের নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে সেই ছবি। এরপরই তা নিয়ে ঝড় ওঠে ইন্টারনেটে। সমর্থকদের পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরোধীরাও সেই ছবি শেয়ার করেন। গ্রেফতার কাণ্ড নিয়ে যত না আলোচনা, তার চেয়ে বেশি তর্ক-বিতর্ক চলছে মাগশটে ট্রাম্পের অভিব্যক্তি নিয়ে।

এদিকে, ট্রাম্পের মাগশট ভাইরাল হতেই সুযোগ লুফে নেয় ব্যবসায়ীরা। ২৪ ঘণ্টাও না পেরোতেই এই ছবি ব্যবহার করা হয় টি শার্ট, মগ, ক্যাপসহ নানা পণ্যে। দেদারসে বিক্রিও হচ্ছে সেগুলো। তবে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভক্তিও আছে মার্কিনিদের মধ্যে।

এদিকে, ট্রাম্পের চোখ রাঙানি অভিব্যক্তির মাগশটকে শক্তিশালী ছবি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিক উইলসন বলেন, ছবিটি আইকনিক। এভাবে হয়তো কোনো প্রেসিডেন্টের মাগশট, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হবে না। বিচার প্রক্রিয়ায় এই পর্যায়ে কোনো প্রেসিডেন্টই যাননি। আমি বলবো, বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে ছবিটি শক্তিশালী। অন্তত ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছে তা গুরুত্ব বহন করছে।

ট্রাম্পের মাগশট নিয়ে বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ছবিটি দেখেছেন তিনি। ট্রাম্পকে হ্যান্ডসাম বলে উপহাসও করেন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply