রাজনৈতিক সংকট বাড়লে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি হতে পারে: সৈয়দ ইবরাহিম

|

আলমগীর স্বপন:

অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন ঘিরে সামনে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে; এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক। রাজনৈতিক সংকট বাড়লে এক-এগারোর মতো সরকার গঠনের গুঞ্জনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম মনে করছেন, এবার ’১৪ কিংবা ’১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে না পারলেও ভিন্ন ফন্দি আঁটছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

তিনি বললেন, আমরা অনুমান করছি তারা (আ. লীগ সরকার) ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো করবে না। তাহলে কী করবে, সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাদের হাতে দায়িত্ব থাকা মানে কিছু না কিছু করে ফেলবে। সরকারের যদি শুভ বুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল, সাংঘর্ষিক ও সংকটময় হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও তা অনুসরণ করবে বলে মনে করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এতটুকু অগ্রসর হয়েছে যে, তাদের পক্ষে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইউরোপ-আমেরিকায় প্রবেশে অনেক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। পরিবারের লোকজনের আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আসবে।

আন্তজার্তিকভাবে চীন-রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট হলেও ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় এবার ভারতের ভূমিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা তার। বললেন, ২০১৪ সালে ভারত যে নীতি অবলম্বন করেছিল, অর্থাৎ তাদের পররাষ্ট্র সচিবকে ঢাকায় পাঠিয়ে জাতীয় পার্টিকে বাধ্য করেছিল নির্বাচনে অংশ নিতে। আমি মনে করি, এবার ভারত তেমন ভুল করবে না।

নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান দলের বিপরীতমুখী অবস্থানে গুঞ্জন আছে, বিদেশি শক্তির সহায়তায় জাতীয় সরকার গঠনের। এমন সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন না সাবেক এই মেজর জেনারেল।

এ বিষয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, অনেকে বলে… দিনের শেষে এটি গুজব। আমি জানি না, এটি হবে নাকি হবে না। তবে, আমারও কানে এসেছে তা।

উল্লেখ্য, তার দল কল্যাণ পার্টি ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এই জোটের মুখপাত্র। সরকার পতনে বিএনপির নেতৃত্বের যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে ১২ দলীয় জোট। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলে বিএনপি শরীকদের জন্য একশ আসন ছেড়ে দেবে বলে আশাবাদী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply