পদ্মা সেতুতে চালু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় টোল সিস্টেম

|

টোল দিতে আর অপেক্ষা করতে হবে না পদ্মা সেতুতে। চলতি মাসেই চালু হচ্ছে কার্ড দিয়ে টাকা দেয়ার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। আগাম রিচার্জ করে রাখলে টোল প্লাজার কাছে এলেই রোবোটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করে টোলের টাকা কেটে রাখবে।

মূলত, পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাশে তৈরি হয়েছে নান্দনিক এক্সপ্রেসওয়ে। দ্রুত গতির রাস্তায় উঠার সময় টোল দিতে গিয়ে নষ্ট হয় সময়, তৈরি হয় যানজট। তাই সহজ করা হচ্ছে পদ্মা সেতুর টোল প্রক্রিয়া। নগদ টাকার পাশাপাশি অন্তত দুইটি লেনে চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসিএস) এবং হাইব্রিড টাচ অ্যান্ড গো সিস্টেম। এজন্য সেতুর দুই পাড়ে থাকছে আলাদা বুথ।

কোরিয়ার কোম্পানি এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন এই কাজে সহযোগিতা করছে। পদ্মা সেতুর মতো দেশের সব রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতি ব্যবহারের তাগিদ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতি চালু হলে টোল দিতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ তিন সেকেন্ড। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি কেইসি সেপ্টেম্বরেই তা শুরু করতে চায়।

কেইসির প্রকল্প পরিচালক জিনউ পার্ক বলেন, ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম এবং টাচ অ্যান্ড গো— দুটো নিয়েই আমরা কাজ করছি। পুরো বাংলাদেশের সব টোল এই ব্যবস্থাপনায় আনার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। বিশ্বের সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক চেষ্টা করছি আমরা।

সম্প্রতি মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিউলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে ঢাকা।

পার্ক ইয়ং সিক বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের মতো এদেশে বড় অবকাঠামো নির্মাণেও অংশীদার আমরা। কোরিয়ান সরকার ও ব্যবসায়ীরা এদেশের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে।

টোল কার্ডের নিবন্ধন এবং তা সংগ্রহের জন্য কাউন্টার থাকছে মাওয়া প্রান্তে। সেই কার্ড ছোঁয়াতে হবে টোল মেশিনে। এছাড়া নিবন্ধিত গাড়ি পদ্মা সেতু পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টাকা কাটা হবে, সাথে সাথে দেখা যাবে কার্ডের ব্যালেন্সও।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply