‘সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে। নিজেকে সংখ্যালঘু বলে ছোট করবেন না। আপনারা সেটা কেন করবেন? আপনারা তো এই দেশের মানুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়ে যখন যুদ্ধ করেছেন, তখন কে হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম— এটা হয়নি। ওই ঘাতকের বুলেট যখন এসেছে, তখন কিন্তু সব রক্ত মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সব রক্তের রঙ কিন্তু লাল। ওই রক্ত কার তা কিন্তু ভাগ করতে পারেনি। কাজেই সে কথাটা আপনাদের মনে রাখতে হবে, আমি সেটাই চাই’— এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে বলা আছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র আবার প্রতিষ্ঠা করেছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এভাবেই চলতে চাই। যে যার যার ধর্ম যথাযথভাবে পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি জানি চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল। এখন আর সেটি নেই। কে দক্ষ এখন আমরা সেটিই দেখি। কে কাজ করে সেটি দেখি। যোগ্যতা-দক্ষতা দেখে মূল্যায়ন করি, ধর্ম দেখে করি না। অর্পিত সম্পত্তি আইন নিয়ে আপনাদের আপত্তি ছিল, তা বাতিল করছি। আপনারা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই আইন করে দিয়েছি। আরও একটা কাজ করে দিয়েছি। হেবা আইনে আমরা মুসলমানরা যে অধিকারটা ভোগ করি, সেটা হিন্দু ধর্মসহ অন্যান্য সকল ধর্মের জন্য বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। আপনার সম্পত্তি যেন অন্য কেউ নয়-ছয় করতে না পারে সেজন্য। আপনার উত্তরাধিকার যেন আপনার সম্পত্তি পায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন— দুষ্টের দমন করতে আর সৃষ্টের পালন করতে।
/এমএন
Leave a reply