এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম শেখের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় টাইগাররা। কিন্তু এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে টাইগার ব্যাটাররা। একে একে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ, নাইম, সাকিব, লিটন। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার। প্রথম ওভারে তেমন রান না আসলেও দ্বিতীয় ওভারে দু’টি বাউন্ডারি হাঁকান মিরাজ। এরপর থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার। যদিও নাঈম ঠিক ভালোভাবে টাইমিং করতে পারছিলেন না। তবে উইকেটের অপরপ্রান্তে দেখেশুনে খেলার পাশাপাশি রানও করছিলেন মিরাজ। পাওয়ারপ্লে’তে এই দুই ওপেনার কোনো বিপদ হতে দেননি।
১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে জুটির হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। তবে এরপর বেশিক্ষণ তাকে টিকতে দেননি দাসুন শানাকা। লঙ্কান অধিনায়কের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন মিরাজ। তবে তা সোজা চলে যায় মিড উইকেটে ফিল্ডিং করা দুশান্থ হেমান্থের হাতে। ফলে দলীয় ৫৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ৪টি চারের সাহায্যে ২৯ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ।
১৪তম ওভারে লঙ্কানদের ফের উইকেট এনে দেন শানাকা। লঙ্কান অধিনায়কের বাউন্সার পুল খেলতে গিয়ে বল টপ এজ হয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন ধুঁকতে থাকা নাইম। ৪৬ বলে ২১ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাথিশা পাথিরানার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল লেট কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেট রক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। যদিও প্রথমে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে থার্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।
ক্রিজে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস। বাঁহাতি লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ওয়েললাগের টার্ন করা বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন লিটন। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভার শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান।
/আরআইএম
Leave a reply