বাদশাহ ও যুবরাজের সমালোচনা করে নির্বাসনে থাকার সিদ্ধান্ত সৌদি প্রিন্সের

|

ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলার ব্যাপারে মন্তব্য করার পর দেশে না ফিরে ব্রিটেনে নির্বাসনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌদি প্রিন্স আহমদ বিন আব্দুল আজিজ। প্রয়াত বাদশা আব্দুল্লাহর শাসনামলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমান বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের ভাই এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের চাচা তিনি।

মিডেল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লন্ডনে প্রিন্স আহমদের বাসভবনের বাইরে ইয়েমেন যুদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কিছু ইয়েমেনি ও বাহরাইনি নাগরিক। তারা সৌদি রাজপরিবারের পতন চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রিন্স আহমদ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য পুরো সৌদি রাজপরিবার দায়ী নয়।

তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার চালানো নির্দিষ্ট কিছু লোক ইয়েমেনে হামলার জন্য দায়ী, পুরো রাজপরিবারকে দায়ী করবেন না।’

এ সময় জিজ্ঞেস করা হয়, নির্দিষ্ট লোক কারা? এর জবাবে প্রিন্স আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান বাদশা ও তার কাছের উত্তরাধিকারী।’

আহমদ ওই সময় আরো বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, ইয়েমেন কিংবা অন্য যে কোনো জায়গায় আজই- আগামীকাল হওয়ার আগেই- যুদ্ধ শেষ হবে।’

আহমদের ওই বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সৌদি সরকার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ সংবাদ প্রকাশ করে জানায়, প্রিন্স আহমদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আহমদ এমন কথা বলতে পারেন না, কারণ তিনিও রাজপরিবারের তথা ক্ষমতাসীনদের (সরকার) অংশ।

তবে প্রিন্স আহমদ তার বক্তব্যে অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র। তিনি বলেছেন, সৌদি বার্তা সংস্থার রিপোর্টটি ভুয়া।

প্রকাশ্যে রাজপরিবারের বিরোধিতা করার ঘটনা খুবই বিরল। কারণ সৌদি আরবে রাজপরিবারের সমালোচনাকারীদের দীর্ঘদিনের কারাদণ্ড, শারীরিক শাস্তি ও ব্যাপক জরিমানা করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply