মৃত্যুর ৮০ বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার!

|

সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া মার্কিন যুদ্ধ বিমান।

মাল্টার সাগর তলদেশে পড়ে ছিল জরাজীর্ণ একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান। যেটি কি না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। আর বিমানটির সাথেই সলিল সমাধি হয় পাইলট সার্জেন্ট আর নিউম্যানের। খবর রয়টার্সের।

আট বছর আগে তার দেহাবশেষের সন্ধানে অনুসন্ধান শুরু করে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী ও মাল্টার একটি বিশেষ দল। সম্প্রতি এ অভিযানে মিলেছে সাফল্য। মৃত্যুর ৮০ বছর পর উদ্ধার হয় দেহাবশেষ! যুদ্ধ ও মিশনে নিখোঁজ সেনাদের সন্ধানে এটিকে অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে।

ইউনিভার্সিটি অব মাল্টার সহযোগী অধ্যাপক টিমি গ্যামবিন বলেন, ১৫ জনের দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। প্রত্যেকেই কাজটি করতে গিয়ে অভিভূত ছিলাম। প্রত্যেকের ভেতর থেকে একটা তাগাদা অনুভূব করছিলাম। এখনও পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে সন্তোষজনক।

২০১৬ সালে সাইড স্ক্যান সোনার টেকনোলজি ব্যবহার করে সমুদ্র তলদেশে থাকা বিমানটির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেন উদ্ধারকারীরা। ব্যবহার করা হয় থ্রিডি ম্যাপিং-ও। শুরুতে ১৯০ ফুট গভীরে থাকা ধ্বংসাবশেষটির চারপাশে খনন করা হয়। পরবর্তীতে দেহাবশেষ উদ্ধার হওয়ার পর ডিএনএ ও দাঁত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

টিমি গ্যামবিন আরও বলেন, কোথাও খনন করেছি এবং দলকে দিক নির্দেশনা দিতে থ্রিডি ম্যাপিং ব্যবহার করি। এই কাজে সবকিছু নিখুঁতভাবে খুঁজে বের করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, পানির তলদেশে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলে কিছুই দেখা যায় না। আর আমরা যা খুঁজছি, সেটা একদম ছোট আকারেরও হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালে মার্কিন বি টোয়েন্টি ফোর বিমানের বোম্বিং মিশনে ছিলেন সার্জেন্ট আর নিউম্যান। ইতালির সীমায় থাকাকালীন ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে মাল্টার দিকে যাত্রা শুরু করেন পাইলট নিউম্যান। বিমানটি স্থলে অবতরণের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। একপর্যায়ে বিমানটি সাগরে তলিয়ে যায়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply