এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারায় টাইগাররা। তবে সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া ফিফটি এবং শেষ দিকে টেলএন্ডারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় টাইগাররা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এশিয়া কাপে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে হতাশ করেন লিটন দাস। রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতে আশা জাগিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে দ্বিতীয় সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৩ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
প্রায় ৯ মাস পর ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া খেলোয়াড় আনামুল হক বিজয়। শার্দুল ঠাকুরের খাটো লেন্থের বল তুলে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে ধরে পড়েন ৪ রান করা বিজয়। ৫ নম্বর পজিশনে এদিন ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্রিজে এসে শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন মিরাজ। দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪তম ওভারে আক্সার প্যাটেলের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ১৩ রান করেন মিরাজ।
এরপর দলের হাল ধরেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে তারা ১১৫ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন। তাদের দায়িত্বশীল জুটিতে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি তুলে নেন সাকিব। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা সাকিব ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে কিন্তু হতাশা নিয়ে ফেরেন তিনি। শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮০ রান করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়।
সাকিবের বিদায়ের পর শামীম পাটোয়ারীও পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের দিকে। এই বাঁহাতি ব্যাটার ফেরেন মাত্র ১ রান করে। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। শামীম ফিরলে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ শামির করা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তিলক ভার্মার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৮১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়।
শেষদিকে নাসুম ও শেখ মেহেদী বাংলাদেশের রান বাড়াতে থাকে। তুলনামূলক আগ্রাসী ছিলেন নাসুম। ৪৫ বলে ১টি ছক্কা ও ৬টি চারে ৪৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন নাসুম। এরপর মেহেদী ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। মেহেদী ২৯ ও সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।
ভারতের হয়ে ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়াও মোহাম্মদ শামি নেন দুই উইকেট এবং একটি করে উইকেট শিকার করেন আক্সার প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা ও প্রসিধ কৃষ্ণা। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৬৬ রান।
/আরআইএম
Leave a reply