রাজধানীর একটি বাসায় গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ১০ বছরের শিশু মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, নির্যাতনের শিকার রোকসানার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন হয়ে শরীরের টিস্যুগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী সোনিয়া খাতুন আজ নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। পরে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আট মাস আগে ঢাকার ওয়ারী এলাকার ইলিয়াস হোসেন পলাশ নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে (সেলিম টাওয়ার-বাড়ি-৪৫,লালচান রোড) ঝিয়ের কাজ নেয় লোহাগড়া উপজেলার বাহিরপাড়া গ্রামের শিশু রোকসানা। সেখানে ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া ও তার ভাই ইব্রাহিম শিশুটির উপর নির্যাতন চালায়।
এক পর্যায়ে রোকসানা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনদের খবর দিয়ে রোকসানাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। স্বজনরা রোকসানাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৪ আগস্ট তাকে ঢাকায় আনা হয়। এ ঘটনায় রোকসানার বাবা রাসেল শেখ বাদি হয়ে গৃহকর্তাসহ ৪ জনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা করে।
Leave a reply