এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে হারানোর পরদিন সকালেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ভারতের বিপক্ষে জয়ের আনন্দটা অনেকটাই ম্লান হয়েছে ফাইনালে উঠতে না পরার হতাশায়। তবে ভারতের বিপক্ষ জয়, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের অনেকটা আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে বলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একাধিক ইনজুরি সমস্যা এশিয়া কাপে ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে দাবি এই অলরাউন্ডারের।
শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে ছেড়ে আসা টাইগারদের বহনকারী ফ্লাইট শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে ল্যান্ড করে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
সবশেষ ম্যাচে শক্তিশালি ভারতকে হারিয়ে সুপার ফোরের প্রথম দুই ম্যাচে বাজে হারের ক্ষততে কিছুটা প্রলেপ দিয়েছে সাকিবের দল। কিন্তু ফাইনালে উঠতে না পারার হাতাশাটা স্পষ্ট ছিল লিটন দাসের মতো পুরো দলের মাঝেই। তবে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে আর বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে চায় টিম বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, এই আত্মবিশ্বাস আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপেও কাজে লাগবে। ম্যাচটা এমন ছিল…আমরা জিতলেও এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে আমাদের মধ্যে এই বিষয়টা কাজ করেছে, যদি ভারতের সঙ্গে জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসটা ভালো থাকবে। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট, খেলাও ভারতে। সেখানে যাওয়ার আগে দলের স্পিরিটটা বেড়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। দলের খেলোয়াড়েরা খুব ভালো খেলেছে।
মাইটি ভারতে বধ করলে বাংলাদেশ। কিন্তু কেন পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার কাছে এমন বাজে হার? এই প্রশ্নের মিরাজ বলছেন ইনজুরি খুব বেশি ভুগিয়েছে দলকে। ওপেনার শঙ্কট থাকায় বাধ্য হতে তাকে খেলতে হয়েছে ওপেনিং স্লটে। তবে বিশ্বকাপের আগে শতভাগ ফিট দল পাবার প্রত্যাশা মিরাজের।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব যারা চোটে পড়েছে, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তামিম ভাই দলের সঙ্গে ছিলেন না চোটের কারণে। শান্ত খেলার ভেতর চোটে পড়েছে। সে কিন্তু দুটি ম্যাচ খেলেছে, দুটিতেই বড় ইনিংস খেলেছে। লিটন ভাই অসুস্থ ছিলেন। মুশফিক ভাইকে ব্যক্তিগত কারণে খেলার মাঝেই চলে আসতে হয়েছে। সব মিলিয়ে যদি সবাই সুস্থ থাকত, তাহলে খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতো, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ আশাই করেছি। সব মিলিয়ে মনে করি, বিশ্বকাপের আগে আমরা সবাই সুস্থ হয়ে, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যেতে চাই।
হাতাশার এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ঝুড়িটা নেহাত খালি নয় সেটিও মনে করিয়ে দিলেন মিরাজ। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স। তামজিদ সাকিবের অভিষেকেই ব্যাটে বলে অবদান রাখা। নাসুমের ব্যাটিং পারদর্শিতা। শেখ মেহেদীর প্রত্যাবর্তন কাজে দেবে দলের জন্য।
মিরাজ বলেন, অবশ্যই দু’টি জয়। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, তরুণেরা যেভাবে খেলেছে, যেমন সাকিব অভিষেকে ভালো করেছে, হৃদয়-সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ভালো জুটি করেছে। এই ম্যাচে লোয়ার অর্ডার থেকেও রান এসেছে। এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক।
শনিবার ও রোববার বিশ্রাম নেবার পর সোমবার থেকে নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ দল।
/আরআইএম
Leave a reply