নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান বন্ধ করেছে আজারবাইজান। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে হয় অস্ত্রবিরতি চুক্তি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, অভিযানে নিহত কমপক্ষে ২শ এবং আহত ৪ শতাধিক। খবর রয়টার্সের।
বুধবার সন্ধ্যায়ও আজারবাইজানের সেনারা গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ আর্মেনিয়ার। যা অস্বীকার করেছে বাকু প্রশাসন। আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয়র বসবাস।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অঞ্চলটি। আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে আজারবাইজানের অভিযানে মৃত্যু হয় সাত বেসামরিকসহ কমপক্ষে ৩২ জনের। আহত হয় আরও ২শ জন। যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, কমপক্ষে ২শ নিহত ও ৪ শতাধিক আহত হয়।
কারাবাখ থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় রাশিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে।
প্রসঙ্গত, নাগোরনো-কারাবাখ একটি বিতর্কিত অঞ্চল। তিন দশক ধরে এই অঞ্চল নিয়ে মুখোমুখি প্রতিবেশী দুই দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আন্তর্জাতিকভাবে এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু অঞ্চলটির বড় অংশ আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রজাতন্ত্র একটি আর্মেনিয়ান জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে নিজেদের। ১৯৮৮ সালে কারাবাখ আন্দোলনের সূচনার পর থেকে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারেনি আজারবাইজান। ১৯৯৪ সালে নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ‘ওএসসিই’র মিনস্ক গ্রুপের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা করে আসছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সরকার ।
২০২০ সালে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আবারও প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। হামলা-পালটা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
/এএম
Leave a reply