সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইশ সোধিকে মানকাড আউট করেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও তাকে আবার ক্রিজে আমন্ত্রন জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। এতেই ক্ষেপেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সমসাময়িক ক্রিকেট নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে টাইগারদের ওই কাণ্ড নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
মানকাডিংকে বির্তকিত আউট মনে হলেও ডি ভিলিয়ার্সের চোখে মানকাড বৈধ আউট। তবে আউট হওয়ার পর ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে আনাকেই স্পোর্টসম্যানশিপের পরিপন্থী বলেছেন সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটার। তাই, নিউজিল্যান্ড সিরিজে ঘটে যাওয়া মানকাডের পর লিটনের নেয়া সিদ্ধান্তে নারাজ ভিলিয়ার্স।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বিতর্কিত আউট বলা হয় মানকাডিংকে। এমসিসির আইনে বৈধ হলেও মানকাডিংকে ক্রিকেট স্পিরিটের পরিপন্থী হিসেবেই দেখা হয়। বোলার বল করার আগে ব্যাটার যদি পপিং ক্রিজ ছাড়েন, তবে বোলার তার স্টাম্প ভেঙে আউট করতে পারেন। এমন আউটকে বৈধ স্বীকৃতি দেয়া হলেও তা মানতে নারাজ অনেকে।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইশ সোধিকে ‘মানকাড’ করেছিলেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। আম্পায়ার সোধিকে আউট দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ম্যাচে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস সোধিকে ফের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। লিটনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ইশ সোধিকে লিটন ফিরিয়ে আনল। আমার এটা বেশি মনে হয়েছে। আমি বোল্ড হলে তো অধিনায়ক দুঃখ প্রকাশ করে না, আমাকে ফিরেও আসতে বলে না। তাই না? ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনার নিয়ম কেন থাকবে?
ভিডিওয়ের এক পর্যায়ে মান কাডিং এর বিষয়ে আইসিসির দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এই বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী। তিনি বলেন, আমি চাই আইসিসি এই নিয়ম করুক যে ব্যাটারের আউটের পর তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। এটা বৈধ আউট। এখানে বেশকিছু ধূসর জায়গা রয়েছে। আপনি যদি এমন অবস্থায় পড়েন তাহলে সেটা সমর্থকদের জন্য বিরক্তিকর এবং কষ্টদায়ক হবে।
/এমএইচ/এটিএম
Leave a reply