রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক

|

চলতি বছরে রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ জন। বুধবার (৪ অক্টোবর) তাদের নাম ঘোষণা করেছে দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। বিজয়ীরা হলেন, মোঙ্গি বাভেন্দি, লুই ই ব্রুস ও আলেক্সেই একিমোভ। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার, উন্নয়ন এবং ন্যানো ক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানোপার্টিকালের আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখায় এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তিন গবেষককে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিন তিনজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স। বিজয়ীরা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির পিয়েরে আগুস্তিনি, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব কোয়ান্টাম অপটিকসের ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের লন্ড ইউনিভার্সিটির অ্যানি এল’হুলিয়ার। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার অধ্যায়নে ‘অ্যাটোসেকেন্ডে আলোর স্পন্দন’ বের করার ফর্মুলা আবিষ্কারের জন্যই তারা এ সম্মাননা পেয়েছেন।

আগামী ৫ অক্টোবর সাহিত্যে ও ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম জানা যাবে। মাঝে দুদিনের বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর শেষদিন ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের মোট ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর্ব।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরি দিয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণার শুরু করে নোবেল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।

১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তবে কমিটি বরাবরই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে।

১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। অবশ্য পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply