ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের ওপর ব্যাপকহারে রকেট হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলও চালায় পাল্টা বিমান হামলা। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ১৯৮ এবং ইসরাইলের ২২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হামলায় তেলআবিবের ব্যাপক সংখ্যক সৈন্যকে আটক করেছে বলে দাবি হামাসের।
হামাসের এক সিনিয়র নেতার দাবি, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করতে যথেষ্ট ইসরায়েলি সৈন্যদের আটক করেছে তারা।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরোওরি বলেন, আমরা অনেক ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা এবং আটক করেছি। যুদ্ধ এখনও চলছে।
তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে সিনিয়র অফিসারও রয়েছে। তবে তারা কতজনকে আটক করেছেন তার কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
বন্দীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিও আদ্দামিরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৫২০০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৩ জন নারী, ১৭০ জন নাবালক এবং ১২০০ জনেরও বেশি প্রশাসনিক বন্দী রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও সৈন্য ও অফিসারদের হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে তারাও কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
সালেহ আল-আরোওরি আল জাজিরাকে বলেন, হামাস স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে। আমরা আশা করি যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এবং লড়াই সামনের দিকে প্রসারিত হবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য স্বাধীনতা এবং পবিত্র স্থানগুলোর স্বাধীনতা।
আল-আরোওরি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং তাদের পবিত্র স্থানগুলোকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব যতক্ষণ না আমরা বিজয় অর্জন করছি।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের দিক থেকে একটি আক্রমণ আসতে পারে। তবে হামাস বলছে যে তারা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধের ঘোষণা করেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানই এই অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং শান্তির একমাত্র উপায়।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য করবে তারা। এছাড়াও যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেন এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
/আরএইচ/এটিএম
Leave a reply