আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ২০০০, জরুরি সহায়তার আহ্বান তালেবানের

|

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। তালেবানের এক জৈষ্ঠ নেতা এখবর জানিয়ে বলেছেন, দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও হেরাত প্রদেশে ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের সময় জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকার। খবর আল জাজিরার।

কাতারে অবস্থিত তালেবান সরকারের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন আল জাজিরাকে বলেন, হেরাত প্রদেশে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে লড়াই করছে উদ্ধারকর্মীরা। এছাড়া এখনও অনেক লোক নিখোঁজ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জরুরি সহায়তা চেয়ে সুহাইল শাহীন বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে তাঁবু, চিকিৎসা এবং খাদ্য সামগ্রীর জরুরি প্রয়োজন। এজন্য তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং এনজিওদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা নাগাদ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অনুভূত হয় শক্তিশালী কম্পন। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে।

আফগান শিশুরা ভূমিকম্পের পরে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির পাশে একটি কম্বলের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত।

দেশটির ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, জোরালো ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬টি আফটারশক অনুভূত হয়। ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ১২টি গ্রাম। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো হেরাত অঞ্চলে। সেখানে অন্তত ২০ লাখ মানুষের বসবাস।

গেলো বছর জুন মাসে, দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। প্রাণ হারায় হাজারের বেশি মানুষ। গৃহহীন হয়ে পড়েন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply