হামাসের এমন মরিয়া অভিযানের কারণ কী?

|

ছবি: সংগৃহীত।

সাধারণত ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবেই পাল্টা অভিযান চালাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে। এতোদিন তার পরিধিও ছিলো ছোটখাটো। তাই হঠাৎ পুরো ইসরায়েলকে কাঁপিয়ে দেয়া এমন অভিযান হতবাক করেছে বিশ্বকে।

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার পর এ প্রশ্ন নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। গেরিলাদের দাবি, গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রমাগত আগ্রাসনের জবাবেই সর্বাত্মক এ অভিযান।

এর আগে, ভোররাতে অভিযান শুরুর পর হামাসের তরফ থেকেই হামলার তথ্য ও ভিডিওফুটেজ সরবরাহ করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির দাবি, দশকের পর দশক ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান।

এ প্রসঙ্গে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেন, আল আকসা মসজিদ ও জনগণের বিরুদ্ধে দৈনন্দিন আগ্রাসন, পশ্চিম তীরে প্রতিদিনের হত্যা, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তিসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের সামগ্রিক লড়াই এটা। আল কাসাম ব্রিগেডের কৌশল প্রমাণ করে হামাসের সামরিক শাখার উন্নতি।

যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক কিছু ঘটনাবলীও হামাসকে মরিয়া অভিযানে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তেলআবিবের সাথে একের পর এক আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট। এরই মধ্যে সৌদি আরবের সাথে কূটনৈতিক সাফল্যে অনেকটা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ফিলিস্তিনের। তাই মরিয়া হয়েই এমন দুঃসাহসী অভিযানের পরিকল্পনা করেছে হামাস।

ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক খালেদ এলজিন্দি বলেন, অবশ্যই হামাস দীর্ঘ সময় নিয়ে এই পরিকল্পনা করেছে। ইসরায়েলের বিমান হামলা, রকেট ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা, হতাহতের ঘটনা, এরপর অস্ত্রবিরতি। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। তবে কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। আমার মনে হয়, হামাস এখানে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা নিতে চাইছে। হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে চাইছে। আরব বিশ্বের সবাই গা বাঁচিয়ে চলছে। ক্রমাগত মূল্য দিতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। বাইডেন প্রশাসনের সম্পৃক্ততাও খুব সামান্য।

এআই/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply