ব্যস্ততায় কোণঠাসা হয়ে, শহরবাসী যেনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে। মনের খোরাক অথবা প্রাণভরে দু’দণ্ড শ্বাস নেয়ার সময় নেই! কিন্তু সব ছাপিয়ে প্রকৃতি ঠিকই তার অক্সিজেনের উৎসগুলো নিয়ে উঁকি ঝুঁকি দেয় নাগরিক মনে। তেমনিভাবেই শরত নামক উপন্যাসজুড়ে, কাশফুলের সাদায় মায়ার হাতছানি।
এই গল্প প্রতি বছরের। শরৎ শুভ্রতার। নীল আকাশে মেঘের ভলা, নিচে কাশের হাতছানি। কে কাকে ডাকে? সাড়া দেয় আপন মহিমায়?
গল্পের মূল চরিত্র কাশফুল। ক্ষণস্থায়ী, ঋতুনির্ভর, ইন্ধনজাগানিয়া। ছুটে চলে মেঘদূত, ছড়ায় মৃদুমন্দ হাওয়া।
শরৎ যেন এক ভাবুক কারখানা। যার কারসাজিতে উঁকি দেয় নানা চিন্তা। অতীতের সুখস্মৃতি কিংবা ভবিৎষ্যতের সোনার হরিণ, সব ধরা দেয় মেঘের লিখনে। নাগরিক কোলাহলের মাঝেও তাই ক্ষণিকের থমকে দাঁড়ানো।
প্রকৃতির এই ভালবাসার গল্পে, মানুষ জুড়ে দেয়, তাদের উপলক্ষ, মাতে নিটোল উদযাপনে।
অল্পসময়ের জন্য হোক তবুও শরৎ তার পৃষ্ঠায়, মানুষের অসমাপ্ত ভালবাসার পান্ডুলিপিকে জায়গা করে দেয়। রেখে যায় স্মৃতি আর প্রশ্নের ঘনঘটা।
এটিএম/
Leave a reply