শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে গবেষণা করে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ক্লডিয়া

|

চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ক্লডিয়া গোলডিন। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে তিনি তৃতীয় নারী, যিনি এ পুরস্কার পেলেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তার আগে অর্থনীতিতে আরও দুই নারী নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারা হলেন এলিনর অস্ট্রম ও এস্থার দুফলো।

ক্লডিয়া গোলডিনের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার মূল বিষয় ছিল, আগে এবং এখনও নারীর সিদ্ধান্ত মূলত তার বিয়ে ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের নিরিখে নির্ধারিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করলেও তার অন্তর্দৃষ্টি কাল-সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে যায়।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এক সময় সরকারি পরিসংখ্যানে শুধু পুরুষদের কাজের তথ্য-উপাত্ত থাকতো, নারীদের থাকতো না। ফলে অভিলেখাগার বা আর্কাইভে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এই নারীকে। রীতিমতো তথ্য গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে তাকে। অভিলেখাগারের বিপুল তথ্যভান্ডার ঘেঁটে তাকে বের করতে হয়েছে, নারীর ভূমিকা কী ছিল।

ক্লডিয়া গোলডিনের ব্যাখ্যা হলো, মূলত কাঠামোগত পরিবর্তন এবং পরিবার ও সমাজে নারীর দায়িত্ব-কর্তব্যবিষয়ক সামাজিক রীতিনীতির পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়েছে। বিশ শতকে নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। অধিকাংশ উচ্চ আয়ের দেশে নারীর শিক্ষার মান পুরুষের চেয়ে বেশি। আরেকটি কারণে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন এসেছে। সেটা হলো, জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী। এটা নারীকে ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ দিয়েছে, অর্থাৎ স্বাধীনতা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। ওই বছর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৫বার এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

/এমএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply