অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর গুজব, নাকচ করলেন মেয়ে

|

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। তবে এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন এ অর্থনীতিবিদের মেয়ে অভিনেত্রী নন্দনা দেব সেন।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে তার মৃত্যুর খবর দেয় ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেই খবরের সূত্র ছিল সদ্য অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ক্লডিয়া গোল্ডিনের ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল। যেখানে বলা হয়, মর্মান্তিক খবর! আমার প্রিয় অধ্যাপক অমর্ত্য সেন কয়েক মিনিট আগে মারা গেছেন।’

তবে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই অমর্ত্য সেনের মেয়ে নন্দনা সেনের বরাতে জানায়, খবরটি গুজব। একই বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার সাথেও কথা বলেন নন্দনা। জানান, বাবা ভালো রয়েছেন। তিনি বস্টনে রয়েছেন। এই গুজব ছড়ানো বন্ধ হোক। গত সপ্তাহটা আমরা বাবার সঙ্গেই ছিলাম। তার সঙ্গেই কাটিয়েছি। তিনি একেবারেই সু্স্থ আছেন। প্রাণশক্তিতে ভরপুর রয়েছেন। নিজের নতুন বই নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

এ গুজবের প্রেক্ষিতে ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন নন্দনা সেন।

উল্লেখ্য, দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অমর্ত্য সেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক উদ্ভাবন করেন তিনি। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডেলে ভূষিত হন তিনি।

বর্তমানে তিনি টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিট্রি কলেজ, অক্সব্রিজ এবং ক্যামব্রিজের একজন সিনিয়র ফেলো। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর সদস্য। তিনিই প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন।

অমর্ত্য সেনের লিখিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তিনি ইকোনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির একজন ট্রাস্টি। ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে অনূর্ধ্ব ষাট বছর বয়সী ভারতীয় বীর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১০ সালে তাকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেওয়া হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply