ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুই ভাগে বিশ্ব, চলছে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবাদ

|

ওয়াশিংটনের রাস্তায় হয়েছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গত কয়েক দিনে এ দৃশ্য দেখেছে পশ্চিমের আরও কয়েকটি দেশ।

হামাসের অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। নিহত ইসরায়েলিদের স্মরণে হোয়াইট হাউজসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তুলে ধরা হচ্ছে সাদা-নীল পতাকা। বিশ্বনেতাদের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে স্পষ্ট হচ্ছে বিভাজন।

আবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদেও সোচ্চার বিভিন্ন দেশ। ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ মুসলিম দেশগুলো। কোথাও হয়েছে গায়েবানা জানাজাও। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখছে পশ্চিমারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে, আমরা সব সময়ই তার বিরুদ্ধে। দখলদার তেল আবিবকে আগ্রাসী অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।

অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, হামাস কোনো বিপ্লবী বা স্বাধীনতাকামী সংগঠন নয়। তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই সহিংসতার জন্য তারাই দায়ী। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা ইসরায়েলের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।

তবে পশ্চিমা অনেক দেশই ঝুঁকছে মধ্যমপন্হার দিকে। প্রাণহানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলছে দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমেই আসতে পারে সমাধান।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ইয়ং বলেন, যেকোনো ধরনের প্রাণহানির বিপক্ষে আমরাও। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমেই এই জটিলতার অবসান সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ায় দুই পক্ষেরই কমিউনিটি রয়েছে। আমরা চাই না, কোনো বিভাজন সৃষ্টি হোক।

এ অবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply