ওয়াইডের ‘রাজা’ মাথিশা পাথিরানা!

|

ছবি: সংগৃহীত

গত আইপিএলে মাথিশা পাথিরানা খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। আসরে ১৯ উইকেট শিকার করে শিরোপা জয়ী দলের গর্বিত সদস্যও হয়ে উঠেছিলেন। তার বোলিং অ্যাকশনকে তুলনা করা হয় কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার সাথে। তাই তো অনেকেই তাকে ডাকতে শুরু করেন বেবি মালিঙ্গা নামেই। বলা হচ্ছে লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানার কথা।

সেই আইপিএলের সুবাদে অনেক মারকুটে ব্যাটারের উইকেট তুলেছেন নিমিষেই। একই সাথে এশিয়া কাপে নজরকাড়া পারফরমেন্স। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপ মাতাতেই ভারতে এসেছিলেন এই পেসার। কিন্তু যেই ভাবনা সেই কাজ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন পাথিরানা। আসরে খেলতে এসে প্রথম দুই ম্যাচে অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করেছেন ১৯ ওভার। রান দিয়েছেন ১৮৫, আর উইকেট পেয়েছেন ২টি।

তবে যেখানে তার কথা ছিল ব্যাটারকে এক প্রান্তেই আটকে রাখা। উলটো নিজের লাইন-লেংথই ঠিক রাখতে পারছেন না ২০ বছর বয়সী এই পেসার। একের পর এক ওয়াইড বল করে ব্যাটারের রান বাড়াতে সহায়তা করে যাচ্ছেন পাথিরানা।

ওয়ানডে ফরম্যাটে তার অভিষেকটা এবছরের জুনে, সেই থেকে এখন অব্দি খেলেছেন ১২টি ম্যাচ। যার মধ্যে ওয়াইড দিয়েছেন মোট ৫৭টি। অর্থাৎ ম্যাচ প্রতি প্রায় ৫টি করে ওয়াইড দিয়েছেন এই পেসার। জুন থেকে এখন পর্যন্ত, এতো বেশি ওয়াইড দেননি আর কোনো বোলার। তবে এই সমইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইন্ডিজের পেসার আলজারি জোসেফ। ৭ ম্যাচ খেলে তিনি দিয়েছেন ২২টি ওয়াইড।

এই তালিকায় তার পরেই আছেন আফগানিস্তানের দুই বোলার। এখন পর্যন্ত ১২ ইনিংস খেলে ২১টি ওয়াইড দিয়েছেন পেসার ফজল হক ফারুকি। সমান ম্যাচে একই পরিমান ওয়াইড দিয়েছেন মুজিব উর রহমান। এছাড়া ১০ ম্যাচে ২১ টি ওয়াইড দিয়েছেন পাকিস্তানের গতি তারকা শাহীন শাহ আফ্রিদি।

ওয়াইডের রাজা বনে যাওয়া এই পেসার জুনের পর থেকে ৫৭ ওয়াইড থেকে রান দিয়েছেন ৯১। আর এই খরচের তালিকায় ৩৪ রান দিয়ে দ্বিতীয় মুজিব। তবে বাকি তিন বোলারের কেউই ৩০ রানের ঘরে পৌঁছাননি।

বিশ্বকাপের প্রথম ২ ম্যাচে হারতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। প্রথম দুই ম্যাচের বাজে পারফরমেন্সের হতাশা ভুলে পরের ম্যাচে নিজের প্রতিভার ছাপ রাখতে পারবেন তো পাথিরানা? সেটাই দেখার অপেক্ষায় লঙ্কান সমর্থকরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply