হামাসের সুড়ঙ্গ যেন রূপকথার কোনো কাল্পনিক নগরী

|

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ শহর গাজার মাটির নিচে যেন আরেক জগত। ওপরে যতোটা, নিচেও যেন ঠিক ততোটাই। পুরো গাজার নিচে মাকড়শার জালের মতো ছড়িয়ে আছে হামাসের এই সুড়ঙ্গ। যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একপাশে ইসরায়েলের সীমান্ত। অপর পাশে মিশর আর ভূমধ্যসাগর। তাই বহির্বিশ্বের সাথে গাজার যোগাযোগের জন্য বলা যায় একমাত্র পথ এই টানেলগুলো।

২০০৭ সালে হামাস প্রথম সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করে গাজা উপত্যকা ও মিশরের মাঝামাঝি অংশে। মূলত ইসরায়েলের অবরোধ এড়িয়ে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জন্য ভোগ্যপণ্য সরবরাহ সুড়ঙ্গটি নির্মাণের মূল লক্ষ্য ছিল। এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৩ সালে ইসরায়েলমুখী সুড়ঙ্গ তৈরি শুরু করে হামাস। সে সময় ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে কমপক্ষে তিনটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে দুটি সুড়ঙ্গ বিস্ফোরকে বোঝাই ছিল।

হামাসসহ গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন সময়ে সুড়ঙ্গে তাদের সংগৃহীত ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট, গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখে। যোদ্ধাদের গোপন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয় সেগুলো। এমনকি সমরাস্ত্র তৈরির কারখানাও রয়েছে এসব টানেলে।

বলা হচ্ছে, ইসরায়েলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে এসব টানেল। এমনকি আটক ইসরায়েলিদের বন্দি করে রাখা হয়েছে এখানেই।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply