উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ

|

রিমন রহমান:

স্বাধীনতা পরবর্তী ৫২ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাফল্য ঈর্ষণীয়। কিন্তু এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে ১৮ ভাগের বেশি মানুষ। অর্থাৎ ৩ কোটির বেশি মানুষ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পায় না। আর অতি দারিদ্র্যের কাতারে বসবাস করছে দেশের প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ।

এ অবস্থায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন মাথাব্যথার কারণ। ১০০টির বেশি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। কিন্তু সুফল পাচ্ছে না, সুবিধাবঞ্চিত অনেক মানুষ। করোনার অভিঘাত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থমকে দিয়েছে অগ্রযাত্রা। এমন বাস্তবতায় বিশ্বব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘শোভন কাজ ও সামাজিক সুরক্ষা: সকলের জন্যে সমান মর্যাদা।’

অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পুষ্টির সূচকে পিছিয়ে পড়ছি। ক্ষুধার সূচকেও দেখার বিষয় আছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিও জটিল। নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো আরও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। টিসিবির কার্যক্রম আরও বাড়ানো যেতে পারে। সহায়তা কার্যক্রমের বিষয়গুলো আরও সম্প্রসারণের বিষয় রয়েছে।

যতই দিন যাচ্ছে, সমাজে ততই বৈষম্য বাড়ছে। গরীবদের তুলনায় বাড়ছে ধনীদের আয়। এর ফলে সমাজে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। সংখ্যার হিসেবে দারিদ্র্য কমলেও বৈষম্য বাড়ায় স্বস্তিতে নেই সাধারণ মানুষ।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অনেক সময় সরবরাহের ঘাটতির কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়, খাদ্য সংকট ইত্যাদি। এখানে ক্রয় ক্ষমতা মূল সমস্যা। ক্রয় ক্ষমতার সংকটটা তৈরি হয়েছে।

বড় সংখ্যাক মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বেশিরভাগ মানুষ যা আয় করছে, ব্যয় হচ্ছে তারও বেশি। ফলে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে মানুষ। তবে, দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার কথাই বললেন এই নীতিনির্ধারক।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দারিদ্র কমানোর ক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। দ্রারিদ্র প্রবণ দেশ, স্বল্প আয়ের দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ; স্বল্পোন্নত দেশকে উন্নয়শীল করেছি।

এদিকে, সামাজিক নিরাপত্তামূলক ১০০ এর বেশি কর্মসূচি চলমান থাকলেও এর সুফলভোগী কারা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply