মিচেলের সেঞ্চুরিতে ২৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি নিউজিল্যান্ডের; শামির ফাইফার

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ড্যারেল মিচেলের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও রাচীন রবীন্দ্র’র হাফ সেঞ্চুরি’তে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েই ৫ উইকেট তুলে নেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। ভারতীয় এই ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিং তোপে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫৪ রান তুলতে পেরেছে কিউইরা। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৭৪ রান।

রোববার (২২ অক্টোবর) ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এ পেসারের গুড লেন্থের বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন কোনো রান না করা কনওয়ে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো শূন্য রানে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর ইনিংসের নবম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মোহাম্মদ শামি। প্রথম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই উইল ইয়াংকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। শামির গুড লেন্থের বল ইয়াংয়ের ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ১৭ রানে ফিরতে হয় এই কিউই ওপেনারকে।

পাওয়ারপ্লে’তে মাত্র ৩৪ রান তোলা কিউই ব্যাটাররা এরপর নিজেদের খোলস থেকে বেড়িয়ে আসে। চলতি আসরের অন্যতম সেরা স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে রীতিমতো ঝড় তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি তুলে নেন রবীন্দ্র। অন্যদিকে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটি স্পর্শ করেন মিচেল।

তারা দু’জনই সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন। তবে সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি রবীন্দ্র’র। শামির স্লোয়ার অফ কাটারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা গিলের হাতে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস তার থামে যখন, নিউজিল্যান্ড ৩৪তম ওভারে ১৭৮ রানে। আগের ওভারেই মিচেলেরও ক্যাচ উঠেছিল, কুলদীপের বলে সেবার লং অফে থাকা বুমরাহ সহজ ক্যাচ মিস দিলে ৬৯ রানে জীবন পান মিচেল।

ক্যাচ মিসের মাশুল পরে ভালোভাবেই দিতে হয় ভারতকে। মিচেল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫ম শতক পেয়ে যান ১০০ বলে। ৩৭তম ওভারে ২০০ পেরিয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ড ওই ওভারেই হারিয়ে ফেলে উইকেট। টম ল্যাথামকে এলবিডাব্লিউ বানিয়ে এক অঙ্কেই ফেরান কুলদীপ। নিজের শেষ ওভারে এসে গ্লেন ফিলিপসকেও ফিরিয়ে দেন কুলদীপ। ২৩ রানে ফিলিপসকে আউট করেন বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনার। 

শেষ দশ ওভারে ভারতীয় পেসারদের দুর্দান্ত রক্ষণাত্মক বোলিংয়ে ভারত আটকে রাখে নিউজিল্যান্ডকে। উইকেটে সেট হওয়া মিচেলও উড়াল দিতে পারেননি। সেঞ্চুরির পর ২৭ বলে করেন ৩০ রান। শেষের দিকে টানা উইকেট হারিয়ে মিচেলের যোগ্য সঙ্গও হারিয়ে যায়। ২৪৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর ১৭ রানেই আরও তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে কিউরা। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন শামি, শেষ ওভারে এসে মিচেলকে আউট করলে শামি পেয়ে যান ফাইফার। ১২৭ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩০ রানে থেমে যায় মিচেলের ইনিংস। শেষ দশ ওভারে মাত্র ৫৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেয় ভারত। শেষমেশ নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৭৩ রানেই।

ভারতের হয়ে পাঁচটি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। দু’টি উইকেট শিকার করেন কুলদীপ যাদব। মোহাম্মাদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ নেন একটি করে উইকেট।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply