মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ১২টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
ইসরায়েল যখন গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে পুরোপুরি প্রস্তুত, সেসময়ই এলো যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা। গত সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল, ‘থাড এবিএম’ ব্যাটারি এবং ‘প্যাট্রিয়ট স্যাম’ এর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ শুরু করবে। প্যাট্রিয়ট হলো ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, চলমান সংঘাতে ইরানের প্রক্সি সেনাবাহিনী সক্রিয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলকে প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তৃতীয় পক্ষ। তাদের ঠেকাতেই, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহেই, ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হয় দুটি মার্কিন রণতরী।
এ নিয়ে জন কিরবি বলেন, গাজার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে ইসরায়েলের উদ্বেগের কারণও বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজাবাসীর জন্য পাঠানো জ্বালানি লুট করতে পারে হামাস। ব্যবহার করতে পারে নিজেদের স্বার্থে, ইসরায়েল বিরোধী অভিযানে। এমন ভাবাটা যৌক্তিক। তাছাড়া এই মুহূর্তে অস্ত্রবিরতি কার্যকরও হামাসের জন্যই লাভজনক হবে।
এদিকে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর পুরো প্রস্তুতি নিলেও এখনও সেদিকে এগোয়নি ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য একটি সুরক্ষা বলয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আর সেই বলয় সম্পন্ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেলেই স্থল পথে আগ্রাসন শুরু করবে ইসরায়েল। তবে অবশ্য এ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে তেলআবিব ও ওয়াশিংটন।
এসজেড/
এসজেড/
Leave a reply