একই লাইনে একই সময়ে দুটি ট্রেন! মুহূর্তেই কয়েকশ মানুষের জীবন অন্ধকারে

|

আব্দুল্লাহ্ তুহিন:

এগারোসিন্দুর ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো ঢাকার দিকে। ঠিক একই সময়ে কনটেইনার বোঝাই মালবাহী ট্রেনটি চলে আসে ভৈরব স্টেশনের আউটার লাইনে। সজোরে আঘাত করে যাত্রী বোঝাই ট্রেনের শেষ দুটি বগিকে। মুহূর্তেই ট্রেনের যাত্রীদের কাছে যেন নেমে আসে কেয়ামত।

মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় পেলে নিরাপদে বেরিয়ে যেতো যাত্রীবাহী ট্রেনটি। কিন্তু একই লাইনে কীভাবে চলে আসলো মালবাহী ট্রেনটি, তা নিয়ে প্রশ্ন সকলের। স্থানীয় একজন বলেন, সিগন্যালিং ছাড়া কোনোকিছু হওয়া সম্ভব না। যদি দু’চার মিনিট একটু ডিলে করতো, তাহলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। স্থানীয় আরেকজন বলেন, কেবিন মাস্টারের দোষ হতে পারে। এগারোসিন্দুরকে যদি স্টেশনে দাঁড়ানোর সিগন্যাল দেয়া হতো, আর মালবাহী ট্রেনটিকে যদি ছেড়ে দিতো, তাহলে আর এক্সিডেন্টটা ঘটতো না।

চলতি বছর কুমিল্লার লাকসাম, তারও আগে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় কসবায় মন্দবাগের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ ছিল সিগনালের ত্রুটি। এবার ভৈরবেও কার ভুল আর কার গাফিলতি, তা খুঁজে দেখতে তদন্তে নেমেছে দুটি কমিটি। তাই এখনই স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না বাংলাদেশ রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, ড্রাইভার সিগন্যাল দেখেই প্রসিড করবে। এক্ষেত্রে, সে সিগন্যাল দেখেছে কি দেখেনি, তা নিয়ে এখন কথা না বলাই ভালো। তদন্ত কমিটিই বরং সেটা খুঁজে বের করুক।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ ভৈরব জংশনের আগে জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় যাত্রীবাহী এগারোসিন্দুর ট্রেনের সাথে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণ হারান ২০ জন। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply