পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । স্কুল ছাত্রীর শোবার ঘর থেকে রক্ত মাখা দু’টি ছুরি, তার ব্যবহৃত পায়ের নুপুর এবং দুই টুকরো মাংস ছাড়া জীবিত বা মৃত ওই ছাত্রীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্ত দেখা গেলেও প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছে পরিবারের সদস্যরাও বলতে পারছেনা। এমন লোমহর্ষক ও রহস্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে বুধবার ভোর রাতের দিকে। থানা পুলিশের ধারনা হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে।
মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে মৃত বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নুরজাহান (৪০) তার দুই সন্তান শিশুপুত্র হামিম (৩) ও মেয়ে মহিপুর হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম (১৫) এক খাটে ঘুমায়। ঘরের দোতলায় নুরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) তার স্বামী মাঈনুলকে নিয়ে ছিল। রাত তিনটার দিকে রেশমা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাইরে নেমে ঘরে ওঠার সময়ও বোন মরিয়মের সাথে কথা বলেছে। এরপর সকালে মা নুরজাহান বেগমের ডাকচিৎকারে ঘরের সবার ঘুম ভাঙ্গে মরিয়মকে না পাওয়া এবং ঘরের বিভিন্ন জায়গা রক্ত দেখে।
মহিপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, রক্ত মাখা দু’টি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নুপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে। জীবিত বা মৃত কোনভাবেই মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্ত দেখা গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক। প্রকৃত ঘটনার অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
Leave a reply