ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শনিবার (২৮ অক্টোবর) তেল আবিবের আগ্রাসনের প্রতিবাদে
ইস্তাম্বুলে হওয়া জনসমাবেশে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার ইসরায়েল যা করছে তা যুদ্ধাপরাধ। এ সময় পশ্চিমাদেরও কড়া বার্তা দেন এরদোগান। জানান, মধ্যপ্রাচ্যে জাতিগত যুদ্ধ লাগাতে চাইলে ছাড় দেবে না তার দেশের জনগণ।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে কার্যত বিশ্ব থেকে এখন বিচ্ছিন্ন গোটা গাজা উপত্যকা। তেল আবিবের এমন বর্বরতায় ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে বিক্ষোভ-সমাবেশ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। নিপীড়িত গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে ফিলিস্তিনের পতাকা-প্লেকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামেন তুর্কীরা। সাধারণ জনগণের এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও।
বিক্ষোভ সমাবেশে দেয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে এরদোগান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার ইসরায়েলকে বিশ্ববাসীর কাছে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তুলে ধরতে সবকিছুই করবে তার দেশ। হামাস যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তবে নেতানিয়াহুও একজন সন্ত্রাসী। ইসরায়েল, তোমাদের আমরা বিশ্বের কাছে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণ করবো আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইসরায়েল তোমরা দখলদার। তোমরা কিভাবে এই অঞ্চলে এসেছো তা তুরস্কের মানুষ ভালোভাবেই জানে।
এ সময় পশ্চিমাদেরও তুলোধুনো করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, ইহুদিদের মাধ্যমে পশ্চিমারা যদি মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ বাধাতে চায় তবে ছাড় দেবে না তুর্কি জনগণও। গাজায় এই গণহত্যার দায়ভার সবচেয়ে বেশি পশ্চিমাদের। পশ্চিমা নেতাদের বলছি, আপনারা কি ক্রুস ও ক্রিসেন্টের মধ্যে আরেকটু যুদ্ধ বাধাতে চান? মনে রাখবেন তুরস্কের মানুষ এখনও মরে যায়নি।
তুরস্ক বরাবরই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে সরব। দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষেও মত আঙ্কারার। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে অবশ্য তেলআবিবের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। তবে, ফিলিস্তিনিদের ওপর লাগাতার আগ্রাসনের ঘটনায় এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এরদোগানের। কয়েকদিন আগে, পার্লেমেন্টেও ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের সমালোচনায় বিদ্ধ করেন।
এমএইচ/এটিএম
Leave a reply